ঢাকা : ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কেউ ফিল ফোডেন-জন স্টোনসদের প্রতিপক্ষ, কেউ জো গোমেজ-ট্রেন্ট অ্যালেক্সজান্ডার-আর্নল্ডদের সতীর্থ; ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মিশনে আসা নেদারল্যান্ডস দলের ২৬ জনের মধ্যে সাত জনের আছে এমন অভিজ্ঞতা।
মানে, ইংল্যান্ড দলের অনেকে ক্লাব সতীর্থ হওয়ায় ইংলিশদের গোমরের কিছুটা জানা আছে ভার্জিল ফন ডাইক, মিকি ফন দে ফেনদের। দুই দলের সেমি-ফাইনাল সামনে রেখে তাই আলোচনার টেবিলে উঠে আসছে এই বিষয়টিও।
ইংল্যান্ড দলের প্রায় সবাই স্থানীয় লিগের। কেবল দুজন ছাড়া। হ্যারি কেইন খেলছেন বায়ার্ন মিউনিখে, জুড বেলিংহ্যাম রেয়াল মাদ্রিদে। সেখানে ডাচ দলের সাত জন খেলছেন ইংলিশ লিগে।
ডর্টমুন্ডে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী বুধবার (৯ জুলাই) মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। স্বাভাবিকভাবে কোডি হাকপো, ফন দে ফেনরা ইংল্যান্ডে খেলার অভিজ্ঞতা, ক্লাব সতীর্থদের শক্তি-দুর্বলতা ভাগাভাগি করবেন জাতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে। মাঠের লড়াইয়ে এই ছোটখাটো বিষয়গুলোও রাখতে পারে প্রভাব।
টটেনহ্যামে খেলা ডাচ ডিফেন্ডার ফন দে ফেন যেমন সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ডের কৌশল নিয়ে বললেন অনেক কথা। তবে, মাঠে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, মনে করিয়ে দিলেন সেটাও।
দুই দলের খেলোয়াড়দের মান যদি আপনারা দেখেন, সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, ওই পর্যায়ের ম্যাচও আপনারা প্রত্যাশা করবেন এবং এই ম্যাচে ছন্দ খুবই উঁচু পর্যায়ে থাকবে। আশা করি, ইংল্যান্ডের চেয়ে আমাদের পায়ে বল বেশি থাকবে; ইংল্যান্ডকে বলের জন্য দৌড়াতে হবে। আমার ধারণা, ম্যাচের তীব্রতা অনেক বেশি থাকবে।
আমরা জানি, ইংলিশ গণমাধ্যম তাদেরকে নিয়ে অনেক কটুক্তি করছে, কিন্তু তারা সেমি-ফাইনালে উঠেছে... এটাই ইংল্যান্ড সম্পর্কে যা প্রয়োজন, বলে দিচ্ছে। আমি মনে করি, তারা রক্ষণাত্মক খেলে, কিন্তু আমরা কোমর বেঁধে নামব এবং আজ রাতে তাদেরকে যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করব। কিন্তু আমি যেটা বলতে পারি, তাদের অনেক মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে।
দুই মৌসুম আগে লিভারপুলে যোগ দেন হাকপো। ২৫ বছর বয়সী এই ডাচ ফরোয়ার্ড তিন গোল নিয়ে যৌথভাবে চলতি ইউরোর সর্বোচ্চ গোলদাতা। তার বিশ্বাস, ইংল্যান্ড বাধা পেরিয়ে বার্লিনের ফাইনালের সংবাদ সম্মেলনেও থাকবেন তারা।
কোচের (লিভারপুলের সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ) কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি আমি। একজন মানুষ ও খেলোয়াড় হিসেবে যা আমাকে অনেক এগিয়ে নিয়েছে। লিভারপুলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি খুব খুশি।
আমরা যে অনেক দূর যাব, এ বিশ্বাস সবসময়ই ছিল। একটা ম্যাচ বাদে (অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলের হার) অনুভূতি সবসময় ভালো ছিল। আশা করি, আপনারা আমাদের (সংবাদ সম্মেলনে) শেষবারের মতো দেখছেন না।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :