ঢাকা : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট দিয়ে ইংল্যান্ডের জার্সিতে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের এ কিংবদন্তি গতি তারকা বহু আগেই নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। একমাত্র পেসার হিসেবে টেস্টে নিয়েছেন ৭০০ উইকেট। বয়স ৪২ হয়ে গেলেও এখনই থামতে চাননি অবিশ্বাস্য ফিটনেস আর ফর্মে থাকা জিমি। তবু তাকে থামতে বলা হয়েছে।
গত এপ্রিলে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের ছেলেদের দলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কি, লাল বলের দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস একটি হোটেলে ডেকে পাঠান অ্যান্ডারসনকে। সেই বৈঠকে তারা অ্যান্ডারসনকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ২০২৫-২৬ মৌসুমের অ্যাশেজকে সামনে রেখে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলটাকে নতুন করে গঠন করা হবে। জিমিও তাদের সঙ্গে একমত হয়ে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন।
এই গল্প ফাঁদার কারণ- বাংলাদেশের সিনিয়রদের হাল-হকিকতের দিকে দৃষ্টিপাত করা। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানকে অবসর নিতে বলেছিলেন বীরেন্দ্র শেবাগ। মাহমুদউল্লাহকে তো দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাই আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেখতে চায় না। অন্যদিকে ধারাবাহিকভাবে চলছে ‘তামিম ইকবাল নাটক’। ক্রিকেটাঙ্গনে তাই প্রশ্ন, এই সিনিয়রেরা নিজেরা সরে না দাঁড়ালে কে তাদের সরাবে?
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওইরকম জঘন্য ব্যাটিং করার পরও সাকিব-রিয়াদ অবসরে যাননি। এমনকী বিসিবিও তাদেরকে এসব বিষয়ে কিছু বলেছে বলে জানা যায়নি। বরং গত ২ জুলাই বোর্ড মিটিং শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন বলেছিলেন, সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদ এদের প্রত্যেকের অবদান এত বেশি যে এই সময়ে এসে ওদের দলে চান্স পাওয়া বা ভাল খেলার প্রমাণ করা এটা ওদের জন্য অপমানজনক। আমরা চাই ওরা ওদের সেরাটা খেলে অবসরে যাক।
বিসিবি সভাপতির কথায় পরিস্কার- তারা সামনে তাকাচ্ছেন না। সিনিয়রদের ‘অবদানের’ প্রতিদান হিসেবে তাদেরকে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন। প্রশ্ন করা যেতে পারে, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটেও অ্যান্ডারসনের অবদান কম? ৪২ বছরেও এসে তার যে ফিটনেস আর ফর্ম- তা কয়জন পেসারের আছে? এতকিছুর পরেও ইংল্যান্ড ক্রিকেট তাদের ভবিষ্যত নিয়ে ভেবেছে। নিজেদের ভাবনা জিমিকে পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে। জিমিও মেনে নিয়েছেন। বাংলাদেশে এমন কিছু হওয়ার প্রত্যাশা করাটাই হয়তো হাস্যকর।
এমটিআই