ঢাকা : এ মাসেই তার বয়স বিয়াল্লিশ ছুঁয়ে ফেলবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্টটি হবে অ্যান্ডারসনের ১৮৮তম টেস্ট। এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানবেন ইংল্যান্ডের পেস মহতারকা জেমস অ্যান্ডারসন। কিন্তু ইতিহাসের তৃতীয় বোলার ও একমাত্র পেসার হিসেবে টেস্টে ৭০০ উইকেট নেওয়া অ্যান্ডারসনের অবসরের সিদ্ধান্তটি কীভাবে হয়েছিল?
গত এপ্রিলে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের ছেলেদের দলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কি, লাল বলের দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস একটি হোটেলে ডেকে পাঠান অ্যান্ডারসনকে।
সেই বৈঠকে তারা স্পষ্ট করে অ্যান্ডারসনকে জানিয়ে দেন, ২০২৫-২৬ মৌসুমের অ্যাশেজকে সামনে রেখে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলটাকে নতুন করে গড়ার চিন্তাভাবনা করছেন। বাকিটা শুনুন জিমির মুখেই।
আমি বলব না যে, এটা খুব অবাক হওয়ার মতো ঘটনা ছিল। শীর্ষ তিন ব্যক্তি যখন আমাকে ম্যানচেস্টারের এক হোটেলে কথা বলতে ডাকল, আমি মনে করিনি যে এটা সাধারণ কোনো বিষয়। এমন কিছু যে হতে যাচ্ছে সেটি ধারণা করেছিলাম। বরং তারাই আমাকে শান্ত থাকতে দেখে অবাক হয়েছিল। আমার মনে আমি নিজেও নিজের আচরণে অবাক হয়েছিলাম। আমি আবেগাপ্লুত হইনি, রেগে যাইনি, এমনকি কিছুই করিনি।
সেই বৈঠকে অ্যান্ডারসনের সামনে নিজেদের যুক্তি পেশ করেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটের তিন বড় কর্তা। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে তাদের যুক্তিগুলো মেনে নেন জিমি, “বৈঠকে আমি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে পারি। তারা যে আমাকে তাদের পরিকল্পনা ও কারণগুলো আমাকে বিস্তারিত জানালেন, সে কারণে তাদের প্রশংসাও করতে হবে। আমি বিষয়টি মেনে নেই এবং সিদ্ধান্তটি নিয়ে আমার কোনো দুঃখ নেই।
ওই বৈঠকের পর গত মে মাসের শুরুর দিকে এক বিবৃতিতে অ্যান্ডারসন জানিয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টটা খেলেই তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন। ওই টেস্টের পর ইংল্যান্ডের পেসারদের পরামর্শকের ভূমিকা পালন করতে যাওয়া অ্যান্ডারসন আপাতত বিদায়ী টেস্ট নিয়েই ভাবছেন, আমি এখন শুধু আর একটি ম্যাচ নিয়েই ভাবছি, এরপর দেখি সামনে কী হয়।
এমটিআই