ঢাকা : লিওনেল মেসির শহর মায়ামি। সেই শহরের মাঠ মায়ামি হার্ড রক স্টেডিয়ামে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৬তম কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। ১১২ মিনিটে লাউতারো মার্তিনেজের গোলের পরই আনহেল ডি মারিয়াকে উঠিয়ে নেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। ৬৬ মিনিটে লিওনেল মেসি মাঠ ছাড়ার পর অধিনায়কত্ব করছিলেন তিনিই। যখন মাঠ ছাড়ছিলেন আর্মব্যান্ডটা খুলে সমর্থকদের দিকে হাত বাড়িয়ে জানালেন বিদায়। এমন সময় তার চোখেও ছিল জল। যে কান্নার আনন্দের, যে কান্না রূপকথার মতো বিদায়ের।
ডি মারিয়াকে যখন মাঠ ছাড়ার সংকেত দেওয়া হয়, তখনই যে তিনি জেনে গিয়েছিলেন এটাই তার শেষ। অর্থাৎ, এই ডাক মানে বিদায়েরও ডাক। যে ফুটবল মাঠ একসময় চষে বেরিয়েছেন, আর্জেন্টিনার বহু অর্জনের স্বাক্ষী এবং নায়কও তিনি। আজকের আর সেই মাঠে নামা হবে না। এটা ভাবলে যে কারোরই আবেগ আর ধরে রাখা সম্ভব না।
জাতীয় দলের জার্সিতে কোপার এই ফাইনালটাই হবে তার শেষ ম্যাচ, এটা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন ৩৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার। তিনি আলবিসেলেস্তেদের হয়ে ১৪৫ টি ম্যাচ খেলেছেন, জিতেছেন পাঁচটি শিরোপা (যদি বেইজিং ২০০৮ অলিম্পিক গেমসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়)।
ঘড়ির কাঁটা ১১৬ মিনিটে লিওনেল স্কালোনির যখন তার পরিবর্তে নিকোলাস ওতামেন্দিকে নামান, অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ডটাও ওতামেন্দির হাতে তুলে দেন ডি মারিয়া। দর্শকদের অভিবাদন জানিয়ে শেষবারের মতো আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় হিসেবে বিদায় নেন তিনি।
খেলা শেষে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সঙ্গে নিজের শিরোপা রাঙানো বিদায় নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ডি মারিয়া বলেন, ‘এটা লেখা ছিল এবং এটি এই রকমই হওয়ার কথা ছিল। আমি এই স্বপ্ন দেখেছি এবং সতীর্থদের এটি সম্পর্কে বলেছি। এমন বিদায়ের পর আমার অসাধারন এক অনুভূতি হচ্ছে।’
শিরোপা জয়ের ব্যাপারে ডি মারিয়া বলেন, ‘এটা সহজ মনে হলেও খুব কঠিন ছিল। আমি এই প্রজন্মের কাছে চিরকাল কৃতজ্ঞ যারা আমাকে সবকিছু দিয়েছে এবং আমি যা চেয়েছিলাম তা অর্জন করতে দিয়েছে। এসব আমি আগের প্রজন্মের সঙ্গেও জিততে পারতাম, যা প্রাপ্য ছিল।’
এমটিআই