ঢাকা: কলম্বিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে খুব একটা সফল হলেন না লিওনেল মেসি। প্রথমবার ট্যাকলের শিকার হয়ে দ্বিতীয়বার ফের চোট পান তিনি। বাধ্য হয়েই তখন উঠে যেতে হলো। ম্যাচ শেষে কোচ লিওনেল স্কালোনি জানালেন, মাঠ ছাড়তে চাচ্ছিলেন না মেসি।
ফ্লোরিডার হার্ড রক স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ৬৪ মিনিটের সময় চোখে জল নিয়ে মাঠ ছাড়েন মেসি। দ্বিতীয়বার পাওয়া চোটের তীব্রতা এতো বেশি ছিল যে, জুতা আর ডান পায়ে রাখতে পারেননি তিনি।
পরে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির ডান পায়ের অ্যাঙ্কেল ফুলে খুবই বাজে অবস্থা। সেটি নিয়ে ডাগআউটে বসে অঝোরে কাঁদতে থাকেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। মাঠ ছাড়ার সময়ও তার চোখ দিয়ে অনবরত জল গড়িয়ে পড়তে থাকে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনা কোচ জানান, ওই অবস্থায়ও দলের সঙ্গে মাঠে থাকতে চেয়েছিলেন আটবারের ব্যালন দ'র জয়ী।
“লিওর মাঝে এমন কিছু আছে, যা সবার থাকা উচিত। সে ইতিহাসের সেরা এবং অ্যাঙ্কেলের এই অবস্থা নিয়েও সে মাঠ ছেড়ে যেতে চাইছিল না।”
বিষয়টা এমন না যে, সে স্বার্থপর। (সে যেতে চায়নি) কারণ সতীর্থদের হতাশ করে একা ছেড়ে দিতে চায়নি। মাঠে থাকার জন্যই তার জন্ম হয়েছে। ডান পায়ে চোট ম্যাচের প্রথমার্ধেই পেয়েছিলেন মেসি। তখন মাঠেই প্রাথমিক শুশ্রূষা নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যান তিনি। বাকি সময়ে অবশ্য কিছুটা খোঁড়াতে দেখা যায় আর্জেন্টিনা অধিনায়ককে। তবু দলের সঙ্গে লড়াইয়ে থাকার জন্যই মাঠ ছেড়ে যাননি তিনি।
মিডফিল্ডার রদ্রিগো দে পলও সে কথাই বললেন। “আমি জানি লিও কী চিন্তা করে এবং সে সবসময় আমাদের সঙ্গে মাঠে থাকতে চায়, দলকে সাহায্য করতে চায়।”
মেসির চোটের মাত্রা অবশ্য জানা যায়নি। আর্জেন্টিনার আপাতত খেলা না থাকায় তার চোট মূলত ইন্টার মায়ামির জন্য চিন্তার কারণ। আন্তর্জাতিক বিরতিতে আসার আগে চলতি লিগে ১২ ম্যাচে ১২ গোল ও ৯ অ্যাসিস্ট করে মায়ামিকে এগিয়ে নেওয়ার বড় কারিগর যে ছিলেন মেসিই।
এআর