ঢাকা : টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষটা বিশ্বকাপ জিতে রাঙানো ভিরাট কোহলি ও রোহিত শার্মার অর্জনে ভীষণ খুশি কাপিল দেব। ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক অধিনায়কের মতে, ভারতীয় দলে এই দুইজনের জায়গা কেউ নিতে পারবে না।
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে এই সংস্করণে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলে উপমহাদেশের দলটি।
ভারতের এই সাফল্যমণ্ডিত পথচলায় নেতৃত্ব দেন রোহিত। ফাইনালে দলের বিপদে মহাগুরুত্বপূর্ণ ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় তিনিই। বিশ্বকাপ জয়ের পরপরই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দেন তারা দুইজন।
শুধু টি-টোয়েন্টিতে নয়, ভারতীয় দলের বাকি দুই সংস্করণের অধিনায়কও রোহিত। তার সঙ্গে ওয়ানডে ও টেস্টে খেলা চালিয়ে যাবেন কোহলিও। দেশটির ক্রিকেটের তারকা দুই খেলোয়াড়কে যেকোনো সংস্করণেই অমূল্য মনে করছেন কাপিল। তার মতে, ভারত দলে সাচিন টেন্ডুলকার ও মাহেন্দ্র সিং ধোনির মতোই এই দুজনের অভাবও অপূরণীয়।
“কোনো সংস্করণেই ভারতীয় দলে ভিরাট ও রোহিতের জায়গা কেউ নিতে পারবে না। তারা ভারতীয় ক্রিকেটের বড় সেবক এবং এটা (বিশ্বকাপ জেতা) তাদের জন্য একটি শুভবিদায় ছিল। ভিরাট সব সংস্করণে নিজেকে যে উচ্চতায় তুলেছে, টি-টোয়েন্টিতে নিশ্চয়ই তার অভাববোধ হবে। দুজনেই সাচিন টেন্ডুলকার ও মাহেন্দ্র সিং ধোনির মতো। তারা অপূরণীয়।”
ভারতের হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৯ টেস্ট খেলা রোহিতের রান ৪৫.৪৬ গড়ে ৪ হাজার ১৩৭, সেঞ্চুরি ১২টি, ফিফটি ১৭টি। ওয়ানডে খেলেছেন তিনি ২৬২টি, ৪৯.১২ গড়ে রান ১০ হাজার ৭০৯। নামের পাশে ৩১ সেঞ্চুরি ও ৫৫টি ফিফটি।
ভারতের হয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র ক্রিকেটার রোহিত। জাতীয় দলের জার্সিতে এই সংস্করণে ১৫৯ খেলেছেন তিনি, যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড। তার ৪ হাজার ২৩১ রানও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ। পাঁচ সেঞ্চুরির সঙ্গে করেছেন ৩২ ফিফটি, স্ট্রাইক রেট ১৪০.৮৯।
ভারতের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক রেকর্ডের মালিক ১১৩ টেস্ট খেলে ৪৯.১৫ গড়ে রান করেছেন ৮ হাজার ৮৪৮। ২৯ সেঞ্চুরি সঙ্গে ফিফটি ৩০টি। ২৯২ ওয়ানডেতে ৫৮.৬৭ গড়ে রান ১৩ হাজার ৮৪৮, সেঞ্চুরি ৫০টি ও ফিফটি ৭২টি।
আর টি-টোয়েন্টিতে ১২৫ ম্যাচে ৪ হাজার ১৮৮ রান করেছেন ৪৮.৬৯ গড়ে, সেঞ্চুরি একটি ও ফিফটি ৩৮টি এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৭.০৪। এই সংস্করণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি তারও তার।
এমটিআই