ঢাকা : জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সাকিব এখন স্রেফ একজন ক্রিকেটার। তাকে পাকিস্তান সফরের দলেও নেওয়া হয়েছে মেধার বিবেচনায়।
প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানালেন, জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় যাতে কেউ রাজনীতি করতে না পারে, সে ব্যাপারে দ্রুতই সিদ্ধান্ত আসছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিশ্চুপ থাকায় সাকিবের ওপর ভক্তরা চটেছেন। দেশে যখন পাখির মতো গুলি করে মানুষ মারা হচ্ছিল, তখন সাকিব পরিবার নিয়ে সাফারিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেসব ছবিও পোস্ট করেছেন তার স্ত্রী।
শুধু তাই নয়, কোটি ভক্তের পাশে দাঁড়িয়ে একটা মন্তব্যও তিনি করেননি। তাই সাকিবকে আর জাতীয় দলে দেখতে চান না সমর্থকদের বিশাল একটা অংশ।
আজ সোমবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবকে পাকিস্তান সফরের দলে নেওয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ বলেন, ‘অবশ্যই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা চিন্তিত। তার নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের একজন টপ প্লেয়ার। সিলেকশনের ক্ষেত্রে আমরা ভেবেছি, যেহেতু তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মূলত তার মেধার বিবেচনায় তাকে দলে নেওয়া হয়েছে।’
জাতীয় দলের হয়ে খেলা একজন ক্রিকেটার রাজনীতি করতে পারেন কিনা- সেটা নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। গাজী আশরাফ বললেন, তারা এবার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।
তার ভাষায়, ‘যে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে, তা এগিয়ে যাবে।
কেউ জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন না, এটা নিয়েও হয়তো কোনো সিদ্ধান্ত আসবে। কোনো রাজনৈতিক দলেরও কি উচিত কোনো রানিং খেলোয়াড়কে তাদের দলে নেওয়া?’
এমটিআই