ঢাকা: কয়েকদিন পরই পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। দেশটির কন্ডিশন বিবেচনায় প্রয়োজনে বাবর আজমদের বিপক্ষে চার পেসারও খেলাতে পারে বাংলাদেশ। এই তথ্য জানিয়েছেন দলের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ।
বিদেশের মাটিতে টেস্ট জেতানোর মতো পেসার দলে আছেন এবং তারা আরও পরিণত হচ্ছেন বলেও মনে করেন সাবেক এই পাকিস্তানি লেগ স্পিনার।
দেশের বাইরে ম্যাচ জিততে পেসারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হয়। তবে বাংলাদেশ দলে চার পেসার খেলানোর ঘটনা বিরলই বলতে হয়। সর্বশেষ একই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে চারজন স্বীকৃত পেসার দেখা গিয়েছিল ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ২১ আগস্ট শুরু হতে যাওয়া রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও সে রকম কিছু দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন মুশতাক।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গতকাল প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই তিন ঘণ্টার অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের স্পিন কোচ বলেছেন, ‘এখানে কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করছে সবকিছু। কন্ডিশন যেমন হবে, সেভাবে প্রস্তুত হয়েই আমরা মাঠে নামব। যদি উইকেটে ঘাস থাকে, আমরা চার পেসার নামিয়ে দেব, আমাদের বেশ ভালো (কয়েকজন) পেসার রয়েছে।’
পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ দলে পেসার হিসেবে আছেন নাহিদ রানা, শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও খালেদ আহমেদ। তাদের মধ্যে তাসকিন সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন এক বছরের বেশি সময় আগে। তবু পেসারদের নিয়ে আশাবাদী মুশতাক, ‘আমার মতে, বাংলাদেশের একটি ভালো ব্যাপার হচ্ছে, তাদের দলে এখন বেশ ভালো কয়েকজন পেসার রয়েছে। অনুশীলনেই আপনারা ওদের দেখবেন। আমি মনে করি, তারা ঠিক দিকেই এগোচ্ছে। হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। তারা যদি শিখতে থাকে এবং নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখে, তাহলে আশা করছি, তারা পার্থক্য গড়ে দিতে পারবে এবং বিদেশের মাটিতেও ম্যাচ জিততে পারবে।’
অবশ্য পাকিস্তানে টেস্ট জিততে হলে পেসারদের পাশাপাশি স্পিনারদের ভূমিকাও রাখতে হবে। স্পিনারদের সে সামর্থ্য আছে বলেও মনে করেন পাকিস্তানের হয়ে ৫২টি টেস্ট খেলা মুশতাক, ‘বাংলাদেশের স্পিনারদের মধ্যে তাইজুল (ইসলাম) আছে, (মেহেদী হাসান) মিরাজ আছে। তারা খুবই ভালো স্পিনার। ম্যাচ জেতানোর মতো খেলোয়াড়। তারা বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারাটা আমার জন্য সম্মানের। দারুণ একটি দল আছে এখানে। বেশ ভালো ছেলে তারা। তারা কথা শোনে। আমার এই দলে দারুণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে। আশা করি, নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে এখানে পার্থক্য গড়ে দিতে পারব।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টের এই সিরিজে পুরো দলের কাছেই বড় আশা মুশতাকের, ‘তারা সবাই অনেক পরিণত। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি খেলার জন্য তারা উন্মুখ হয়ে আছে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে ম্যানেজমেন্টের সম্পর্কও দারুণ। সাকিবের মতো ক্রিকেটার দারুণ ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে দলে। মুশফিকুর রহিম আছে, শান্ত (নাজমুল হোসেন) আছে, তাসকিন আছে। তারা সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে ভালো ভূমিকা রাখছে। আর সিরিজ খেলতে এসে এখানে ক্রিকেটেই সবার মনোযোগ রয়েছে।’
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ দলের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল ১৭ আগস্ট। কিন্তু পিসিবি প্রস্তাব দেয়, বিসিবি যদি একটু আগে দল পাঠায়, তাহলে তাদের পাকিস্তানেই সব রকম অনুশীলন-সুবিধা দেওয়া হবে। বিসিবি সে প্রস্তাবে রাজি হয়ে দল পাঠিয়ে দেয় ১২ আগস্ট। পিসিবিকে এ কারণে আলাদা করে ধন্যবাদও জানিয়েছেন মুশতাক।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :