• ঢাকা
  • বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ আয়োজন ভাগিয়ে নিতে চায় জিম্বাবুয়ে


ক্রীড়া ডেস্ক আগস্ট ১৭, ২০২৪, ১২:৪১ পিএম
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ আয়োজন ভাগিয়ে নিতে চায় জিম্বাবুয়ে

ঢাকা : চলতি বছরের অক্টোবরে নারী টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের মাটিতে। তবে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেই আয়োজন এখন শঙ্কার মুখে। এরই মধ্যে বিকল্প কোথাও বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ভাবছে আইসিসি।

আর এই সুযোগটিই লুফে নিতে চায় আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ আয়োজন ভাগিয়ে নিয়ে নিজেরাই বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় আফ্রিকার দেশটি।

আগামী ৩ অক্টোবর বিশ্বকাপ সামনে রেখে ভেন্যু ও টুর্নামেন্টের সূচি চূড়ান্ত করে ফেলেছিল আইসিসি।

তবে হঠাৎই বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাওয়ায় এখন বিকল্প ভাবতেই হচ্ছে আইসিসিকে। টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর খুব বেশি সময় হাতে না থাকায় ভারতকে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাবও দিয়েছিল আইসিসি। তবে অক্টোবরে বর্ষার মৌসুম হওয়ায় সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি ভারত। একই কারণে টুর্নামেন্টের আয়োজক হতে চায় না শ্রীলংকাও।

আর এই অবস্থার সুযোগ নিয়েই এগিয়ে এসেছে জিম্বাবুয়ে। নিজেদের আগ্রহের কথা তারা আইসিসিকে জানিয়ে রেখেছে। তবে তাদের সঙ্গে টুর্নামেন্টে আয়োজনের লড়াইয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতও। তারাও বিশ্বকাপ আয়োজন করতে প্রস্তুত, যদি বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে নেয় আইসিসি। এ ব্যাপারে আগামী ২০ আগস্ট একটি বোর্ড বসবে আইসিসির। যেখানে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

তবে এ দফায় বাংলাদেশে নারী বিশ্বকাপ আয়োজন না হলে তার বড় দাবিদার জিম্বাবুয়ে। কেননা, সবশেষ দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব সফলভাবে আয়োজন করেছে জিম্বাবুয়ে। এছাড়াও ২০২৬ সালে নামিবিয়ার সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আয়োজক হবে জিম্বাবুয়ে। এরপর ২০২৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ার সাথে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হবে দেশটি। তার আগে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে আইসিসির আস্থা অর্জন করতে চায় তারা।

তাছাড়া নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত ভেন্যু রয়েছে তাদের। কাজেই দ্রুততম সময়ের মধ্যেই সেগুলো বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত করতে পারবে তারা। এর বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের চেয়ে অনেকটা সাশ্রয়ী মূল্যেই বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারবে জিম্বাবুয়ে। আর সে কারণেই তাদের বিশ্বাস বাংলাদেশ থেকে সরে গেলে তাদেরকেই নারী বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে বেছে নেবে আইসিসি।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!