Menu
ঢাকা : আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-গণআন্দোলনের সময় গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার ঘটনায় ঢাকার আদাবর থানায় মামলা হয়েছে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে। টেস্ট সিরিজ খেলতে সাকিব এখন পাকিস্তানে। তাকে পরের টেস্টে দলে রাখা হবে কিনা- সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিসিবি। এদিকে সাকিবের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তার সতীর্থরা।
ছাত্র-গণআন্দোলন শুরুর অনেক আগে থেকেই সাকিব দেশের বাইরে ছিলেন। ওই সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগ ও কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ দুটিতে খেলেছেন।
তবে আন্দোলনের বিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি, যা ক্ষুব্ধ করেছে সমর্থকদের। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় সাকিবের পারিবারিক ভ্রমণের ছবি কিংবা কানাডায় এক দর্শককে দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন করা- সাকিবকে সমালোচিত করেছে।
কিন্তু আওয়ামী লীগের ব্যানারে মাগুরা-১ আসনের সাবেক সাংসদ সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাকে অনেকেই হয়রানিমূলক বলেই মনে করছেন। পেসার রুবেল হোসেন যেমন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচাইতে অভাগা একজন রাজনীতিবিদ যার ৬/৭ মাস রাজনীতির ক্যারিয়ারে পাঁচ মাসের মতই ছিলেন দেশের বাইরে । আপনি সংসদ সদস্য হয়ে কিছু পাওয়ার চেয়ে হারিয়েছেন অনেক কিছু । বাংলাদেশের সমস্ত ক্রিকেটার আপনার পাশে আছে, সাকিব ক্রিকেটেই সুন্দর রাজনীতিতে নয়।’
আরেক ক্রিকেটার সাব্বির রহমান ফেসবুকে সাকিবকে দেশে ফেরানোর আইনি নোটিশ বিষয়ক খবরের একটি ফটোকার্ড শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সাকিব আল হাসান। যার জন্য বিশ্ব ক্রিকেট বাংলাদেশকে চিনে। শ্রদ্ধা ভালোবাসা থাকবে সব সময়।’
তরুণ পেসার শরীফুল ইসলামও ফেসবুকে সাকিবের সঙ্গে দুটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সবসময়ই ভালবাসার আরেক নাম সাকিব আল হাসান আছে থাকবে।’
ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও বলছেন, সাকিবকে হয়রানি করতেই এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তাদের বক্তব্য- সাকিব ঢাকার নয়, মাগুরা-১ আসনের সাংসদ ছিলেন। তাছাড়া তিনি দুই মাস ধরেই দেশের বাইরে। অনেকে আবার সাকিবের বিরুদ্ধে এর আগে ওঠা কাঁকড়া খামার, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন।
এমটিআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT