Menu
ঢাকা: দলকে একপ্রকার খাদের কিনার থেকেই তুলে আনলেন লিটন দাস। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারই কল্পনা করতে পারেনি যে, তাদের স্কোর পাকিস্তানের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে!
আনকোরা বোলার খুররম শাহজাদকেই সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছিলো টাইগারদের। সেখানে ২৬ রান তুলতে প্রতিষ্ঠিত ৬জন ব্যাটার চলে গেলো সাজঘরে।
এরপর তো লড়াই’ই বাকি থাকে না। যা কিছু করা হোক, তা শুধু ব্যবধান কমানোরই লড়াই। কিন্তু মনোবল হারালেন না দু’জন। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং লিটন দাস। দু’জনের অনবদ্য ব্যাটিং ঘোর অন্ধকার কাটিয়ে সূর্যোদয়ের দেখা মিলতে থাকে। ১৬৫ রানের জুটি বাংলাদেশকে তখন বিপদসঙ্কুল পথ পাড়ি দিয়ে সরল-সঠিক রাস্তায় নিয়ে এসেছে।
দলীয় ১৯১ রানে মিরাজ ৭৮ রান করে বিদায় নিলেও লিটন লড়াই চালিয়ে যান ঠিকই। নিজের ইনিংসকে তিন অংকের ঘরেই নিয়ে গেলেন না শুধু, দ্রুত রান তুলে পাকিস্তানের স্কোরের কাছাকাছি নিয়ে যান টাইগারদের স্কোর। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা ১৩৮ রান করে আউট হলেন। তখন দলের স্কোর ২৬২। পাকিস্তান থেকে ১২ রান দূরে।
তাতে কী! ২৬ রানের পর ৫০ কিংবা ৭০ রানে তো আর অলআউট হয়নি। স্কোরটাকে লিটন আর মিরাজ মিলে নিয়ে গেলেন ২৬২-তে। অসম এক লড়াই; কিন্তু সফল হলেন। পিন্ডির সবুজ ঘাসে ব্যাটে ঝড় তুলে অনবদ্য সেঞ্চুরিও হাঁকালেন লিটন দাস। ক্যারিয়ারের চতুর্থ।
দিনের শেষ ভাগে আবার পাকিস্তানের দুটি উইকেটও তুলে নিতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে একটি কট-বিহাইন্ড করেছেন লিটন নিজে। সব মিলিয়ে দিনের শুরুতে খানিক্ষণ হতাশা ভর করলেও বাকিটা সময় ছিল বাংলাদেশেরই। যার অধিকাংশ সময়জুড়েই ছিল লিটনের জয়জয়কার।
দিন শেষে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের অনার্সবোর্ডে গর্বিত সেঞ্চুরিয়ানদের তালিকায় নিজের নাম নিজ হাতেই লিখে দেন লিটন দাস। মূলত নাম লেখা হবে আনুষ্ঠানিকভাবে। তার আগে পিসিবি লিটনকে আমন্ত্রণ জানায় মার্কার দিয়ে নিজের নামটি অনার্সবোর্ডে লিখে দেয়ার জন্য।
আগেরদিন একইভাবে অনার্সবোর্ডে নাম লিখেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজও। পাকিস্তান ইনিংসের সময় দুর্দান্ত বোলিং করে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ।
এআর
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT