ঢাকা: বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচটি খেলবেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ। লিভারপুল ও বার্সেলোনার সাবেক এই স্ট্রাইকারই আন্তর্জাতিক ফুটবলে উরুগুয়ের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১৪২ ম্যাচ খেলে ৬৯ গোল করেছেন একুশ শতকের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।
উরুগুয়ে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি খেলবে নিজেদের মাঠে। সেই ম্যাচের আগে মন্টেভিডিওর সেন্টেনারিও স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেই অশ্রুসজল চোখে অবসরের ঘোষণা দেন সুয়ারেজ, ‘বলতে হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। তবু জানাচ্ছি, আগামী শুক্রবারই (বাংলাদেশ সময় শনিবার) জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচটি খেলব আমি।’
২০০৭ সালে উরুগুয়ের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলা সুয়ারেজ বললেন সঠিক সময়েই আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ‘আমি জানি, পরের বিশ্বকাপে খেলা আমার জন্য কঠিন হতো। চোটের কারণে নয়, নিজের ইচ্ছায় অবসর নিচ্ছি। এটা অনেক বড় ব্যাপার।’
উরুগুয়ের হয়ে চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন লুইস সুয়ারেজ, খেলেছেন পাঁচটি কোপা আমেরিকাও। ২০১১ সালে উরুগুয়েকে কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন সুয়ারেজই। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন, করেছিলেন ৪ গোল। গোল চারটির শেষটি সুয়ারেজ করেছিলেন ফাইনালে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। ম্যাচটি ৩-০ গোলে জেতে উরুগুয়ে।
সেই কোপা আমেরিকার জয়টাকেই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন ভাবেন সুয়ারেজ, ‘কোনো কিছুর বিনিময়েই আমি কোপা আমেরিকার শিরোপাকে হাতছাড়া করতে রাজি নই। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত এটি। আবারও বলছি, কোনো কিছুর সঙ্গে আমি এটাকে অদলবদল করতে রাজি নই।’
শুধু গোলের পর গোল করার জন্যই নয়, আন্তর্জাতিক ফুটবল সুয়ারেজকে মনে রাখবে বিতর্কিত কিছু ঘটনার জন্য। ২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালির জর্জো কিয়েল্লিনিকে কামড়ে দিয়ে চার মাস নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। চার বছর আগের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ঘানার বিপক্ষে গোললাইন থেকে হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছিলেন। তাতে লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে হলেও দলের হার ঠেকিয়েছিলেন। সুয়ারেজের হ্যান্ডবলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হওয়া ঘানা পরে টাইব্রেকারে হেরে যায় উরুগুয়ের কাছে।
আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়লেও ক্লাব ফুটবল চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন লিওনেল মেসির সঙ্গে এমএলএস ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলা সুয়ারেজ।
এআর