ঢাকা: জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী অস্থিরতা বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে স্থানান্তরিত করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেয়া হয়েছে বিশ্বকাপের আসর। অবশ্য বিশ্বকাপটাই কেবল হচ্ছে সেখানে। আয়োজক স্বত্ত্বটা থাকছে বাংলাদেশের হাতে।
ফারুক আহমেদ উড়াল দিলেন সেখানেই। বৈঠক করেছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে। আর বৈঠকের বিষয় সেই বিশ্বকাপই। নারীদের এই বিশ্বকাপের রোডম্যাপ ঠিক করতেই দুবাইয়ে উড়াল দিয়েছেন নবনির্বাচিত বোর্ড সভাপতি।
আইসিসি প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইসের উপস্থিতিতে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মাবারাক আল নাহিয়ান এবং অন্যান্য কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি। সঙ্গে ছিলেন বোর্ডের সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন।
দুবাই ও শারজাহতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই আসরের ক্রিকেটীয় সুবিধা এবং খেলোয়াড়দের স্বাগত জানানোর পুরো প্রক্রিয়াই থাকবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের হাতে।
বৈঠক শেষে ইসিবি প্রধান নাহিয়ান মুবারাকের কথায় জানা গেল তা, ‘দুবাইয়ে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড সময় দিয়েছে এবং আরও একবার নিজেদের আয়োজন সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। আমাদের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখার জন্য আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন যে ১০ দলের এই টুর্নামেন্টটি একটি বড় সাফল্য হবে, ‘দুবাই এবং শারজাহতে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। দুটি ভেন্যুতে কিছু বড় বিশ্ব ইভেন্ট সহ দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করা হয়েছে। টুর্নামেন্টটি সফলভাবে মঞ্চস্থ করার জন্য ইসিবি-র সক্ষমতার উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। দুই বোর্ডের মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে; আমরা ইসিবি এবং আইসিসির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।’
২৩ ম্যাচ এবং ১০ দলের এই বিশ্বকাপ ৩ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। শারজাহতে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ, তাদের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে দুবাইয়ে। ২০ অক্টোবর বিশ্বকাপের ফাইনালও হবে সেই একই ভেন্যুতে।
এআর