• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

শুরুটা বাংলাদেশের, অশ্বিন-জাদেজা তাণ্ডবে শেষটা ভারতের


ক্রীড়া ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৫:৫৩ পিএম
শুরুটা বাংলাদেশের, অশ্বিন-জাদেজা তাণ্ডবে শেষটা ভারতের

ঢাকা: ৩২ ওভারে ১৬৩ রান-দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনে এই রান যোগ হয়েছে ভারতের। হারায়নি কোনো উইকেট। শেষ সেশনে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভারত চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানে। 

অশ্বিন ১০২, জাদেজা ৮৬ রানে অপরাজিত। দুজনের অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিতে ভারত পেয়েছে ১৯৫ রান। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সপ্তম উইকেট বা তার পরের জুটির সর্বোচ্চ তো বটেই, চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে যে কোনো দলেরই সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ।

সকালে হাসান মাহমুদের অসাধারণ প্রথম স্পেল বিপাকে ফেলে দিয়েছিল ভারতকে। পরে দ্বিতীয় সেশনে আরও তিন উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে তাদের রান ছিল ৬ উইকেটে ১৪৪। সেখান থেকে রবীন্দ্র জাদেজা ও রাভিচান্দ্রান অশ্বিনের জুটি দারুণ ব্যাটিংয়ে পার করে দেয় দিন।

আটে নেমে ১১২ বলে ১০২ রান নিয়ে দিন শেষ করেন অশ্বিন। তার ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি এটি। নিজ শহরের মাঠ এই এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে সবশেষ টেস্টেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

জাদেজা অপরাজিত ৮৬ রানে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ১৯৫, বাংলাদেশের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে যা ভারতের রেকর্ড।

দিনজুড়ে বাংলাদেশের ওভার রেট ছিল খুবই ধীরগতির। প্রথম দুই সেশন মিলিয়ে করতে পারে তারা কেবল ৪৮ ওভার। দিনের শেষে আধ ঘণ্টা সময় বাড়িয়েও ১০ ওভারের ঘাটতি রয়ে যায়।

সকালে টস জিতে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে স্বপ্নের শুরু এনে দেন হাসান। নতুন বলে তিনি বিদায় করেন রোহিত শার্মা, শুবমান গিল ও ভিরাট কোহলিকে। প্রথম ঘণ্টায় তার স্পেল ছিল ৫-২-৬-২। চতুর্থ উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েন ইয়াসাসভি জয়সওয়াল ও রিশাভ পান্ত। এই জুটিও ভাঙেন হাসান। ২১ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে পান্ত ফেরেন ৩৯ রানে।

পঞ্চম উইকেটে জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুলের জুটিতে আসে ৪৮ রান। জয়সওয়ালকে ৫৬ রানে থামান নাহিদ রানা। পরের ওভারেই ১৬ রান করে আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে।

সেখান থেকেই অশ্বিন ও জাদেজার জুটি। দাপুটে ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যান তারা। সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের আগের সর্বোচ্চ ২০০০ সালে সৌরভ গাঙ্গুলি ও সুনিল যোশির ১২১ রানের জুটি পেরিয়ে যান দুজন। শেষ সেশনে ক্লান্ত বাংলাদেশের বোলারদের গুঁড়িয়ে দ্রুত রান বাড়ান দুজন।

হাসান ছাড়া বাংলাদেশের অন্য বোলাররা খুব ভালো করতে পারেননি। সাকিব আল হাসানকে বোলিংয়ে আনা হয় ৫২ ওভারের পর। তার বোলিং ছিল একদম ধারহীন।

এআর

Wordbridge School
Link copied!