ঢাকা: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে অবস্থান ভারতের। খেলা তাদের মাঠে। তাছাড়া পূর্বে ১৩ বারের চেষ্টায়ও হারানো যায়নি ভারতকে।
সব মিলিয়ে যে কোনো বিচারে তাই বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে ফেভারিট ছিল ভারতই। এরপরও এবার ভিন্ন গল্প লেখার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। কারণ, সবশেষ সিরিজেই পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে টেস্টে ধবলধোলাই করে এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে যে তেজ দেখা গিয়েছিল টাইগারদের মধ্যে সেটি ভারতের বিপক্ষে দেখা গেল না। কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ হেরেছে ২৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে। এরপরও ম্যাচ শেষে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন শান্ত। শোনালেন ঘুরে দাঁড়ানোর কথা।
প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৪ রান করেছে বাংলাদেশ। যেখানে অধিনায়ক শান্তর অবদান ৮২। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর কানপুর টেস্টের আগে তাই বাকিদেরও রানে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে শুনিয়েছেন ঘুরে দাঁড়ানোর কথা।
শান্ত বলেন, ‘আমি সবসময় দলের প্রয়োজনে অবদান রাখার চেষ্টা করি। আমি ব্যাটিং করতে খুবই উপভোগ করি। চেষ্টা করি যতটা সম্ভব লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করার। কানপুর টেস্টটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বোলাররা ভালো করছে, আশাকরি ব্যাটাররাও দ্রুতই ছন্দে ফিরে আসবে।’
এছাড়া চেন্নাই টেস্ট থেকে কী পেল বাংলাদেশ, কোনো ইতিবাচক দিক আছে কিনা; এমন প্রশ্নে শান্ত বলেন, ‘এই টেস্টে ইতিবাচক দিক বলতে তাসকিন-হাসানদের বোলিং। তারা প্রথম ইনিংসের প্রথম ২-৩ ঘণ্টা যেভাবে বোলিং করেছেন, তাতে বেশ চাপে ছিল ভারতীয় ব্যাটাররা। যদিও পরবর্তীতে তারা ঘুরে দাঁড়ায়। আমরা নতুন বল বেশ ভালোভাবে কাজে লাগাতে পেরেছি। তবে, সেই ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখতে পারিনি।’
এআর
আপনার মতামত লিখুন :