ঢাকা : গোয়ালিয়রে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে রোববার। এই সিরিজে নিয়মিত খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়েছে ভারত। নতুনদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে স্কোয়াড। দলে স্বীকৃত ওপেনার হিসেবে আছেন অভিষেক শর্মা। রোহিত শর্মা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। জয়সওয়াল ও শুভমান গিল বিশ্রামে আছেন। ফলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে- উদ্বোধনীতে অভিষেকের সঙ্গী কে হবেন? এ প্রশ্নের উত্তর সহজ করে দিতে পারেন সানজু স্যামসন।
ভারতের জাতীয় দলে স্যামসনের অভিষেক হয়েছিল সেই ২০১৫ সালে। গত ৯ বছরে মাত্র ৩০টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে দলে ফেরানো হয়েছে এই ২৯ বছর বয়সী উইকেটরক্ষ-ব্যাটসম্যানকে। উদ্বোধনীতে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞ আছে তার।
তিনি টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছে উদ্বোধনীতে নেমেই। ৫টি ম্যাচে উদ্বোধনীতে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতাই তাকে এগিয়ে দিচ্ছে। গত জুলাইয়ে শ্রীলংকার সিরিজে দুই ম্যাচে খেলার সুযোগ পেলেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি স্যামসন। এবার তার সামনে আরেকটি বড় সুযোগ।
বাংলাদেশ সিরিজে ভালো করতে পারলে টি-টোয়েন্টি দলে তার জায়গা পাকা হতে পারে। উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান হিসেবে খেললেও উদ্বোধনীতে তার প্রতিই আস্থা রাখতে পারে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কেননা অতীতেও এমন ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করেছেন স্যামসন। তার প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে অবশ্য দলে আছেন আরেক উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান জিতেশ শর্মা।
তবে জিতেশের প্রতি কতটা ভরসা করবে ভারত, তা নিয়ে ভাবনার বিষয় রয়েছে। অন্যদিকে, এই প্রথম বারের মতো ঘরের মাঠে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে নেতৃত্ব দেবেন সূর্যকুমার যাদব। সেরা ব্যাটিং পজিশন তিন নম্বরে খেলেন তিনি।
সর্বশেষ শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই চারে ব্যাট করা রিয়ান পরাগকে একই পজিশনে দেখা যেতে পারে। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া পাঁচে এবং ছয়ে দেখা যেতে পারে রিংকু সিংকে। স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবে সাতে দেখা যেতে পারে ওয়াশিংটন সুন্দরকে। দলে একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে আছেন লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণুই।
অবশ্য আরেক লেগ স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীও অপেক্ষায় আছেন। পেস আক্রমণের নেতৃত্বে দেখা যেতে পারে আইপিএলের আলোচিত বোলার মায়াঙ্ক যাদবকে।
এমটিআই