ঢাকা : মাস দেড়েক আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হয়েছেন ফারুক আহমেদ। কিন্তু এখনো গুছিয়ে উঠতে পারেননি। এর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ- বিসিবির পরিচলাকদের অনেকেই এখন পলাতক আছেন। কেউ ছুটি নিয়েছেন, আবার কেউ আইনের ফাঁক গলে টিকে আছেন।
ফারুক আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণের পর গত দেড় মাসে পরিচালনা পর্ষদের সভা হয়েছে আরও তিনটি, যেগুলোতে দৃশ্যপটে না থাকা পরিচালকেরা অনুপস্থিত ছিলেন। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো পরিচালক বিনা নোটিশে পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে তার পরিচালক পদ শূন্য হয়ে যাবে। সে অনুযায়ী বেশ কয়েকটি পরিচালক পদই এখন শূন্য বলে ধরে নেওয়া যায়।
ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রশ্ন- এই আইন থাকলেও কেন বিসিবি পরিচালকদের পদ শূন্য হচ্ছে না? কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, অনুপস্থিত পরিচালকদের কেউ কেউ চিকিৎসাজনিত ছুটির চিঠি দিয়ে রেখেছেন বোর্ডে। যে কারণে চাইলেই তাদের পদ শূন্য ঘোষণা করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি যাতে দিনের পর দিন না চলে, সেটা নিশ্চিতে এখন আইনি দিকগুলো বিশ্লেষণ করে দেখছে বিসিবি।
বিষয়টি নিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘একটা ইমার্জেন্সি মিটিংসহ চারটি মিটিং হয়েছে। এখন সময় এসেছে যারা নেই তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এ মুহূর্তে তাদের জায়গায় আমরা কাউকে নিতে পারছি না। কারণ, জেলা পর্যায়ের কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এখন পর্যন্ত নতুন কমিটি করেনি। ক্লাবগুলো এখনো অগোছালো। নির্বাচন করতে চাইলে পদ খালি হতে হবে, নির্বাচন ওভাবেই করতে হবে। ওই জায়গাগুলো পূরণ করার জন্য আরও কিছু সময় লাগবে।’
উল্লেখ্য, দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের পাশাপাশি পলাতক পরিচালকদের মাঝে আছেন- নাঈমুর রহমান দুর্জয়, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ওবেদ নিজাম, তানভীর আহমেদ টিটু, আ জ ম নাছির উদ্দিন, গাজী গোলাম মোর্ত্তজা, শেখ সোহেলসহ, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, নজীব আহমেদ, এনায়েত হোসেন সিরাজ, মঞ্জুর কাদের, মঞ্জুরুল আলম প্রমুখ।
এমটিআই