Menu
ঢাকা: ডেমিস হাসাবিস। ২৭ শে জুলাই, ১৯৭৬ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্ম। একজন সুপরিচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষক, স্নায়ুবিজ্ঞানী, কম্পিউটার গেম ডিজাইনার। কাজ করছেন গুগলের ডিপমাইন্ড প্রজেক্টে। সেই সঙ্গে তার আরও একটা পরিচয় আছে, দাবা মাস্টার।
প্রোটিনের কাঠামোর বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার একটি মডেল আবিষ্কার করায় এ বছর যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ডেমিস হাসাবিস। তার সঙ্গী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানজনক এই পুরস্কারটি জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড বেকার এবং স্বদেশি জন জাম্পার।
বিজ্ঞানী হাসাবিসের নোবেল জয় আলোড়ন তুলেছে বিশ্ব দাবা অঙ্গনেও। হবেই না কেন, দাবার চালেও যে সিদ্ধহস্ত তিনি। ২৩০০ ইলো রেটিং নিয়ে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই ফিদে মাস্টার খেতাব অর্জন করেছিলেন। সেই সময়, অনূর্ধ্ব-১৪ বছর বয়সী দাবাড়ুদের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা ছিলেন তিনি। তার সামনে ছিলেন কেবল কিংবদন্তী দাবাড়ু জুডিথ পোলগার।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নারী দাবাড়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয় জুডিথকে। ১৯৯১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তৎকালীন সময়ের সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন নারী এই দাবাড়ু।
জানা গেছে, ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি জুনিয়র দাবা দলেরও নেতৃত্বে ছিলেন ডেমিস হাসাবিস। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো দাবাড়ু স্টকহোমে প্রেস্টিজিয়াস নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। বিজ্ঞানের পাশাপাশি দাবাতেও তার অবদান অনস্বীকার্য। দাবা বোর্ড থেকে নোবেল পুরস্কার জয় অনেকের জন্য হতে পারে অনুপ্রেরণারও।
উল্লেখ্য, ১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে।
ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য-এই ৫টি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এই ৫ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।
এআর
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT