• ঢাকা
  • বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১

বুড়োদের বিপিএলে উপেক্ষিত যেসব উদীয়মানরা 


ক্রীড়া ডেস্ক অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
বুড়োদের বিপিএলে উপেক্ষিত যেসব উদীয়মানরা 

ঢাকা: ‘যেই লাউ সেই কদু’- বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে এমন মন্তব্য করা হয়তো ভুল হবে না।

কোনো দল হয়তো তারকা ঠাঁসা, কোনো দলের যেন অংশগ্রহণ করাই শেষ কথা। এর মাঝে আবার দৃশ্যমান পরিকল্পনার অভাব। ক্রিকেটার নির্বাচনে মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেনি বেশিভাগ দলগুলো।

এবারের বিপিএল নিয়ে একটু বেশিই প্রত্যাশা সমর্থকদের। বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সংশ্লিষ্টতা আছে জানার পর বড় আশায় বুক বেধেছে সবাই। তবে প্রাথমিকভাবে সেই আশা পূরণ হয়নি, সবকিছু বদলালেও বদলায়নি প্লেয়ার্স ড্রাফটের চিত্র।

পাঁচ তারকা হোটেলে জাকজমকপূর্ণ পরিবেশ ঠিক আছে। শুরুর উপস্থাপনা আশা সঞ্চার করেছে। তবে ড্রাফট শুরু হতেই শুরু অসংলগ্নতার। কখনো ড্রাফট পরিচালনাকারীর ভুলভাল তথ্য, কখনো মাইক্রোফোন বিভ্রাট, কখনো সিস্টেমের গণ্ডগোল!

তবে এর চেয়েও চিন্তার বিষয় তরুণ আর উঠতি ক্রিকেটারদের প্রত্যাশা মতো দল না পাওয়া। মাশরাফি বিন মর্তুজা, মার্শাল আইয়ুব, নাইম ইসলাম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা দল পেলেও উপেক্ষিত থেকে গেলেন মোসাদ্দেক হোসেন, সৈকত আলি, মুমিনুল হকদের।

প্রতিবার মাঠের বাহিরে আর যাই হোক, নতুন শুরুর ঘোষণা দিলেও মাঠের ভেতর প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসে না এই এক কারণেই। গত দুই আসরে দল না পাওয়া শফিউল ইসলামের এবার দল পেয়ে যাওয়াই হয়ে দাঁড়ায় বড় বাধা।

অথচ জাতীয় দলে খেলা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সৈকত আলিরা দল পাননি। অথচ প্রতিটা বিপিএলেই ধারাবাহিক পারফর্ম করেছেন তারা। ঘরোয়া লিগেরও নিয়মিত মুখ দু’জনে। মোসাদ্দেক তো ঢাকা আবাহনীর অধিনায়ক!

জাতীয় দলে খেলা ফজলে মাহমুদ রাব্বি, নাজমুল ইসলাম অপু, আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের দল না পাওয়াও বিস্ময়কর। সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হকও দল পাননি। মেহেদী হাসান রানা, মুক্তার আলীরও মেলেনি দল।

উপেক্ষিত থেকেছেন শামসুর রহমান, সোহাগ গাজি, ফরহাদ রেজাও। বিপিএলের সেঞ্চুরিয়ান আনিসুল ইসলাম ইমনেরও দল মেলেনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নিয়মিত পারফর্মার অমিত হাসান, টিপু সুলতান, রবিউল হকের দল মেলেনি। সুমন খানও থাকেন উপেক্ষিত।

রুবেল হোসেন, শফিকুল ইসলাম, কাজী অনিক, সাকলায়েন সজিবরাও নেই কোনো দলে। আর মেডিক্যাল টিমের অনাপত্তিপত্র না পাওয়ায় খেলা হচ্ছে না মুশফিক হাসান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর।

যদিও এখনো সুযোগ আছে তাদের দলে ভেড়ানোর। কোনো ফ্রাঞ্চাইজি চাইলেই ভিত্তিমূল্য অনুযায়ী দলে টানতে পারে তাদের। অর্থাৎ অপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই করার নেই মোসাদ্দেকদের।

এআর

Wordbridge School
Link copied!