ঢাকা: বরখাস্ত হলেন হাথুরুসিংহে। যেভাবে বিতাড়িত হলেন সেটি অবশ্য প্রাপ্য ছিল না হাথুরুসিংহের। ২০১৫ সালে তার অধীনেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজ জয়।
সাফল্য এসেছে টেস্টেও, নিজেদের শততম টেস্টে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। মিরপুরের স্পিনবান্ধব উইকেটে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও টেস্টে জয় আসে হাথুরুর প্রথম মেয়াদে।
ওয়ানডেতে ধারাবাহিক ভালো করে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ সুযোগ পায় ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিত সেই টুর্নামেন্টে তো সেমিফাইনালেই উঠে যায় মাশরাফির দল। ২০১৯ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ সরাসরি সুযোগ পায় র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকার সৌজন্যেই।
২০১৭ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়া হাথুরু আবার ফেরেন ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। এবারের শুরুটা কী দারুণ! ওয়ানডে সিরিজে হারলেও সে সময়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে মোটামুটি ভালো, ওয়ানডেতে খারাপ-হাথুরুর দ্বিতীয় আমলে পুরোটা সময়েই বজায় থেকেছে এই ধারা। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভুলে যাওয়ার মতোই পারফরম্যান্স ছিল বাংলাদেশের।
এরপর এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে ওঠে বাংলাদেশ। তবু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলা মন কাড়তে পারেনি সমর্থকদের। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের হারটা তো কালো দাগই হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে।
হাথুরুসিংহের প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদের মাঝে বাংলাদেশের প্রধান কোচ ছিলেন দুজন-ইংল্যান্ডের স্টিভ রোডস ও দক্ষিণ আফ্রিকার রাসেল ডমিঙ্গো। তিন সংস্করণ মিলিয়ে রোডসের অধীন বাংলাদেশের শতকরা জয় ৫১.১১%, ডমিঙ্গোর অধীন ৪২.৩৪%।
বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানে তাদেরই মাটিতে ধবলধোলাই করার বিরল কীর্তি গড়া বাংলাদেশ আবার সেই ভালো লাগার অনুভূতি ছুড়ে ফেলে এসেছে ভারত সফরে। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুই সিরিজেই বাজেভাবে হারার পর এল সেই খবর-হাথুরুকে বরখাস্ত করছে বিসিবি।
এআর