• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কড়া নিরাপত্তায় কেউ খুশি, কারো কাছে ভোগান্তি


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ২১, ২০২৪, ০১:০৩ পিএম
কড়া নিরাপত্তায় কেউ খুশি, কারো কাছে ভোগান্তি

ঢাকা : কড়া নিরাপত্তা দিয়ে সিরিজে আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দক্ষিণ আফ্রিকাকে দিয়েছিল বিসিবি। সে অনুযায়ী নেওয়া হয়েছিল প্রস্তুতি। এমনকি দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধি দলকে দেখানো হয়েছিল সেটা মহড়ার মাধ্যমেও। তবে ঢাকা টেস্টের প্রথমদিনে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা গিয়েছে, সেটা হয়তো আগেরদিনও দায়িত্বশীলদের ভাবনায় ছিল না।

স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশে মিরপুর-২ থেকে প্রশিকা মোড় পর্যন্ত সড়কে চলছে না যানবাহন, খুলতে দেওয়া হয়নি দোকানপাট। এমনকি পায়ে চলাচল করতেও বাধা। এমন সুনশান নিরবতা দেখে শঙ্কা জেগেছিল দর্শকশূন্য মাঠে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার।

তবে মাঠের ভেতরে প্রবেশ করতেই সেই শঙ্কা দূর হয়ে গেল। ইস্টার্ন গ্যালারি আর ক্লাব হাউসে তখনও কিছু দর্শক দেখা গেছে। বেলা যত গড়িয়েছে দর্শকের সংখ্যাও বেড়েছে। তবে মাঠে প্রবেশের আগে দর্শক-গণমাধ্যমকর্মীদের যেতে হয়েছে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে। এ নিয়ে কেউ কেউ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও অনেকে জানিয়েছেন ক্ষোভ। তাদের প্রশ্ন খেলা দেখতে এসে কেন এত বিড়ম্বনা?

কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবসময় খেলা দেখতে আসি। প্রতিবারই আমাদেরকে কোনো না কোনো বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এবার অতিরিক্ত হয়ে গেছে।’

তিনি ক্ষুব্ধ হলেও তার বন্ধু মিজান আবার খুশি, ‘আগে তো মানুষের জটলা থাকত। এখন সেটা নেই। এভাবে সবসময় থাকলে আমাদেরকে আর কালোবাজারীদের হাত থেকে টিকিট কেনা লাগবে না।’

তাদের এই ক্ষোভের উত্তরে যে শুধু রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রসঙ্গ আসবে, তা কিন্তু নয়। সাকিব আল হাসানকে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান ও দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তাকর্মীরা আরও বেশি তৎপর হয়ে ওঠেন। যার প্রমাণ মিলে সোমবার সকালে।

স্টেডিয়ামের আশেপাশের মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সাধারণ কোনো মানুষ বা পথচারী মিরপুর-২ থেকে প্রশিকা মোড় পর্যন্ত কোনো যানবাহন ও সাধারণ পথচারীদের চলাচল করতে দেননি। আশেপাশে কোথাও যেতে হলেও সেটা অন্য পথ ধরেই যেতে হচ্ছিল। দর্শক পরিচয় দিলে দেখা হচ্ছিল টিকিট।

এমদাদ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব ভালো। কিন্তু খেলা দেখতে এসে এত বিড়ম্বনা। রবিবার যদি সাকিব ভক্ত ও বিরোধীরা ঝামেলা না করত তাহলে হয়তো এতটাও কঠোর হওয়া লাগত না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের। আমার বাসায় যেতে যে রাস্তায় দুই মিনিট, সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে হচ্ছে। কালও রাস্তায় দোকানপাট খোলা ছিল, ছেলেরা এখানে ক্রিকেট খেলেছে। অথচ আজ হচ্ছে না। বহিরাগতরা এখানে এসে ঝামেলা করে, আর সমস্যা হয় আমাদের।’

কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদেরকেও। সাধারণত মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেট দিয়ে সাধারণত প্রবেশ করতে হয় গণমাধ্যমকর্মীদের। সেখানে যাওয়ার আগে পূর্ণিমা রেস্টুরেন্ট অথবা প্রশিকা মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যরা চেক করে দেখছিলেন অ্যাক্রেডিশন কার্ড। নাম ও ছবির সঙ্গে মিলিয়ে নিচ্ছিলেন কার্ডধারীর ছবি। তারপর গেটে প্রবেশের পর তাদের ব্যাগেও তল্লাশি চালানো হয়। এমন দৃশ্য এর আগে দেখা যায়নি মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে।

এদিকে আজও থেমে নেই সাকিব ভক্তদের কর্মসূচি। তারা অবস্থান নিয়েছেন মিরপুর-১০ নম্বরে। অবরোধ করে দাঁড়িয়েছেন সেখানে। বন্ধ আছে যান চলাচল।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!