ঢাকা : উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের সফল ক্লাব স্পার্টা প্রাগের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ৫-০ গোলে জয়ের ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেন আর্লিং হল্যান্ড। জোড়া গোল উপহার দেন এই তরুণ স্ট্রাইকার।
তবে খেলার ৫৮ মিনিটে যে গোলটি করেছেন ম্যানসিটির এই নরওয়েজিয়ান তারকা, তা ছিল রীতিমতো চোখ ধাঁধানো ও বিস্ময়কর। এই গোলটি নিয়ে ফুটবল বিশ্বে হইচই পড়ে গেছে।
হল্যান্ডের আশ্চর্যজনক গোলের পর নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ম্যানসিটির কোচ পেপ গার্দিওয়ালা। ম্যাচশেষে তিনি বলেছেন, কোনো মানুষের পক্ষে এভাবে গোল করা স্বাভাবিক ব্যাপার নয়।
সাভিনহোর ক্রস থেকে বল পেয়ে চমকপ্রদভাবে শূণ্যে থেকে ব্যাক হিল ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন হল্যান্ড। তার এই অসাধারণ গোলটি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মাঠ ছাড়ার আগে অবশ্য পরে আরো একটি গোল করেন তিনি। জোড়া গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ১৬তম অবস্থানে উঠে আসেন ম্যানসিটির এই তারকা। ৪২ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা এখন ৪৪। হল্যান্ডের গোলটির প্রসঙ্গে কোচ গার্দিওয়ালা জানান, ‘সে কীভাবে গোলটি করেছে, জানি না।
আমি বলব, একজন মানুষের জন্য এটি সাধারণ ব্যাপার নয়। সে চমৎকার একটি গোল করেছে। ১৫ কিংবা ২০ বার বল স্পর্শ করে ৭-৮টি সুযোগ তৈরি করেছে। এটা অবিশ্বাস্য।’ তিনি আরো বলেন, ‘সে যে অবিশ্বাস্য গোলটি করেছে, কয়েক বছর আগে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষেও ঠিক একই রকম ভাবে গোল করেছিল। আমি জানি না, এর মধ্যে কোনটি বেশি কঠিন ছিল। আমি বলব, দুটিই।’
হল্যান্ডের ক্যারিশম্যাটিক গোলে অবাক হয়েছেন ম্যানসিটির ব্রাজিলীয়-পর্তুগিজ মিডফিল্ডার মাতেউস নুনেসও। তিনি জানান, ‘কি এক আশ্চর্যজনক গোল! এই গোলের পর আমি ভাষাহীন হয়ে পড়েছিলাম। আগে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে একই রকম ভাবে যখন তিনি গোল করেছিলেন, তখন আমি টেলিভিশনে দেখেছিলাম। এবার সরাসরি দেখালাম। এটা আশ্চর্যজনক ছিল।’
ম্যানসিটির জয়ে স্পার্টা প্রাগের কোচ লারস ফ্রিস পুরোপুরি কৃতিত্ব দিলে এই মৌসুমে ১৩টি গোল করা হল্যান্ডকেই। তিনি বলেন, ‘কী বলতে পারি, সে সম্ভবত বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকার। সে বিশ্ব মানের। তার বিরুদ্ধে আমরা ভালো করেছি। তবে এই রকম একটি গোল করে সে নিজেকে এগিয়ে নিয়েছে। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের নিয়ে সেরা তারা।’
হল্যান্ডের অতিমানবীয় হয়ে ওঠা ম্যাচে কোচ গার্দিওয়ালা নতুন একটি রেকর্ড গড়েছেন। ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগতিায় ২৬ ম্যাচে অপরাজিত তিনি।
এমটিআই