ঢাকা: বাংলাদেশ দলের সময়টা তেমন ভালো কাটছে না। ভারত সিরিজে সব ম্যাচ হারার পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও প্রথম ম্যাচে হেরেছে টাইগাররা। দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং টিম স্পিরিটও খুব একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এমন করুণ অবস্থায় টাইগারদের নেতৃত্ব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান সিরিজ শেষে অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাইছেন তিনি।
জানা গেছে, তিন ফরম্যাট থেকেই নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণের কথা জানিয়ে বিসিবিকে ইতিমধ্যে চিঠিও দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বোর্ড প্রধান ফারুক আহমেদ আইসিসি মিটিং থেকে ফিরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
এমনটাই জানিয়েছে বিসিবির একটি সূত্র। সূত্রটি আরও জানায়, নেতৃত্বের চাপ হয়ে যাওয়ায় ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শান্ত। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বোর্ড প্রধাণ দেশে ফেরার পর।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক বছরের জন্য সব ফরম্যাটের নেতৃত্ব দেওয়া হয় শান্তকে। সে অনুযায়ী এই ব্যাটারের মেয়াদ ছিল আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। কিন্তু আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব নেওয়ার পর টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ৮২, ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে একটি সেঞ্চুরি ও টি-টোয়েন্টিতে দুটো চল্লিশোর্ধ্ব রান পেয়েছেন শান্ত। শান্ত ইতোমধ্যে ৯ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ৩ জয় ও ৬ হার দেখেছেন। এছাড়া ৯ ওয়ানডেতেও ৬ হার, ৩ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ তার অধীনে। সবচেয়ে বেশি ২৪ টি২০-তে নেতৃত্ব দিয়ে ১০ জয় এনে দিলেও বাংলাদেশ হেরেছে বাকিগুলোতে।
ধারাবাহিক ভাবে রান করতে না পারায় অধিনায়ক শান্ত বেশ চাপে পড়েছেন। টিম ম্যানেজমেন্টের ওই সূত্র জানিয়েছেন, “শান্ত তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক। আমাদের দেশের মতো ক্রিকেট দলে তিন ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেওয়া খুব চাপের। ওর জন্য তাই ব্যাপারটা চাপ হয়ে যাচ্ছিল। এজন্যই হয়তো সে ওই ইচ্ছা করেছে।”
বিসিবির আরেক পরিচালক জানিয়েছেন, যদি শান্তকে কোনোভাবে অধিনায়কত্ব করার জন্য রাজি করানো সম্ভব না হয়, তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর ওয়ানডে এবং টেস্টের অধিনায়কত্ব পেতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বের দায়িত্ব পেতে পারেন তরুণ তাওহীদ হৃদয়।
এসএস