Menu
ঢাকা: চট্টগ্রাম টেস্টে লজ্জার হার বরণ করল টাইগাররা। মাত্র তিন দিনেই ইনিংস ব্যবধানে হেরে গেল লর্ড বাহিনী। প্রথম ইনিংসে এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন ৮ জন ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৫৯ রানে।
৪১৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমেও বেহাল দশা। মাত্র ১৪৩ রানেই অলআউট টাইগাররা। ইনিংস ও ২৭৩ রানে হেরে ঘরের মাঠেই ধবলধোলাই মুশফিক-মিরাজরা।
এ যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একদিকে পুরো দেশ ব্যস্ত বাংলাদেশ নারী দলের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা উৎসবে। অন্যদিকে দেশকে লজ্জায় ডুবিয়েছে শান্ত-মুশফিকরা।
মিরপুর টেস্টের পর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থতা দেখিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আগের ম্যাচ হারায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে কেবল তারা ধবলধোলাই এড়াতে পারত। আরও একবার বেহাল ব্যাটিংয়ে সেটিকে অসম্ভব প্রমাণ করেছেন শান্ত-মুশফিক ও সাদমান ইসলামরা। দুটি ইনিংসেই বাংলাদেশের তাড়না ছিল যেন কত দ্রুত ম্যাচটি শেষ করা যায়! দক্ষিণ আফ্রিকার টেল-এন্ডার ব্যাটাররাও যেখানে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছে, সেখানে টাইগাররা কত দ্রুত আউট হওয়া যায় সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছিল!
তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৬ উইকেট হারিয়ে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেছে। তবে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে টেস্ট হার থেকে। এর আগে রেকর্ড সর্বোচ্চ ইনিংস ও ৩১০ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে সেটি ছিল টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের যাত্রাকালে। আজকের হারটি সে হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লজ্জার রেকর্ড। সেটিও সম্ভব হতো না টেল-এন্ডারে হাসান মাহমুদ ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলায়। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা অলআউট হয়েছে ১৪৩ রানে।
এর আগে তিন সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়ারা ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। বিপরীতে মাত্র ১৫৯ রানেই গুটিয়ে গিয়ে প্রথম ইনিংসে ফলো-অনে পড়ে বাংলাদেশ। গতকাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমেই তারা ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল। আজ (বৃহস্পতিবার) দলীয় সংগ্রহে আর ১২১ রান যোগ করতেই পড়ে বাকি ৬ উইকেট। এরপর ফলো-অনে পড়া বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে পাঠায় এইডেন মার্করামের প্রোটিয়া শিবির।
এআর
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT