ঢাকা: মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলার সময়ই ইংলিশ কোচ জেমস পিটার বাটলারের সঙ্গে দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্ব সামনে চলে এসেছিল।
সেই দ্বন্দ্ব এক পাশে সরিয়ে রেখেই দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছেন সাবিনা, সানজিদারা। শিরোপা জেতার পরও কোচের সঙ্গে দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের দূরত্ব চোখ এড়ায়নি। বাটলারের কণ্ঠেও ছিল অভিমানী সুর। দেশে ফিরে বলেছেন, তিনি তার ভবিষ্যৎ নিয়ে বাফুফের সঙ্গে কথা বলবেন।
তবে আজ নারী ফুটবল উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার বলেছেন, বাটলারকে রেখে দিতে চায় বাফুফে। অভিজ্ঞ এই ইংলিশ কোচকে বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য প্রয়োজন মনে করেন তিনি, ‘আমরা বাটলারকে রেখে দিতে চাই, তাকে ফুটবলের জন্যই দরকার। এযাবৎ বাংলাদেশে যত কোচ এসেছেন, বাটলারকেই আমাদের সেরা মনে হয়েছে।’
সাফে পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচের পরপরই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে এসে মনিকা চাকমা বোমা ফাটিয়েছিলেন। কোচ বাটলার সিনিয়র খেলোয়াড়দের পছন্দ করেন না, তাদের একাদশে খেলাতে চান না, মনিকার অভিযোগের সারাংশ এমনই। বাটলার এই অভিযোগ শুনে চুপ থাকেননি। নারী দলের খেলোয়াড়দের অনেকেই ‘টিকটক’ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, পাল্টা এমন অভিযোগ করেন তিনি। একটি টুর্নামেন্ট চলার সময় ফুটবলারদের এমন কথাবার্তাকে শৃঙ্খলা বিরোধীও বলেন বাটলার। ইংলিশ কোচের কথা ছিল, তার দেশ ইংল্যান্ড হলে শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করা হতো।
বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান আজ জানিয়েছেন, তিনি দেশে বসেই ওই সময় কোচ, খেলোয়াড়দের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন, ‘আমি ওই সময় কোচের সঙ্গে কথা বলেছি, খেলোয়াড়দের সঙ্গেও কথা বলেছি। সবাইকে বুঝিয়েছি। আমি মনে করি, বিষয়টা একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। কোচ নিজের মতো করে দল গোছাতে চেয়েছিলেন। পরীক্ষা–নিরীক্ষায় গেছেন। এটিতে সিনিয়র খেলোয়াড়েরা মনে করেছে ওদের বাদ দিতে চাচ্ছেন বাটলার।’
বাটলার মেয়েদের কোচ হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন নাকি, সাফ জিতে দেশে ফিরে সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি কখনোই নারী ফুটবল দলের কোচ ছিলাম না। এসেছিলাম একাডেমির কোচ হিসেবে। সভাপতি কাজী সালাহউদ্দীন আমাকে বলেছিলেন, মেয়েদের নিয়ে কাজ করতে। সাফ জিতে আমি মনে করি আমি সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পেরেছি।’
গত জানুয়ারিতে বাটলারকে বাফুফের এলিট একাডেমির কোচ হিসেবে আনা হয় এক বছরের চুক্তিতে। বাটলারের সে চুক্তি আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত। এলিট একাডেমির ফুটবলারদের সঙ্গে কাজ করা অবস্থায়ই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে গত এপ্রিলে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন তাকে নারী দলের সঙ্গে কাজ করতে বলেন। বাটলারকে রেখে দিলে তিনি মেয়েদের জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করবেন, নাকি এলিট একাডেমিতে ফিরে যাবেন, সে বিষয়ে অবশ্য আজ পরিষ্কার করে কিছু বলেননি মাহফুজা।
এআর