ঢাকা: অনেকদিন ধরেই জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকে চাচ্ছিল বিসিবি। আগেও একই দায়িত্ব পালন করা সালাহউদ্দিনও আগ্রহী ছিলেন পুরোনো কাজে ফিরতে।
দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে যাওয়ায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত তাকেই বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বিসিবি। এ ব্যাপারে আজ-কালের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার কথা।
এর আগে গত ২১ আগস্ট বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, যোগ্য স্থানীয় কোচদের জাতীয় দলসহ বিসিবির বিভিন্ন দলে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এখনই কাউকে জাতীয় দলের প্রধান কোচ করা না গেলেও অন্তত সহকারী কোচ বা বিশেষজ্ঞ কোচের ভূমিকায় তিনি স্থানীয় কোচদের আনতে চান।
এক সময় বিকেএসপির খণ্ডকালীন ক্রিকেট কোচ ছিলেন সালাহউদ্দিন। ২০০৫ সালে যোগ দেন জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট চলাকালীন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফারুক কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, জাতীয় দলের জন্য স্থানীয় একজন সহকারী কোচ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সে ধারাবাহিকতায় বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের আমন্ত্রণে আজ দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে যান সালাহউদ্দিন। বোর্ড সভাপতির সঙ্গে সবকিছু নিয়ে তার ইতিবাচক আলোচনার পর এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাই বাকি।
সালাহউদ্দিন নতুনভাবে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ শুরু করবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে। প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের সহকারী হিসেবে তার দায়িত্বের মেয়াদ ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত। চুক্তির মেয়াদ এরপর বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। সিমন্সের চুক্তির মেয়াদও আপাতত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত।
এক সময় বিকেএসপির খণ্ডকালীন ক্রিকেট কোচ ছিলেন সালাহউদ্দিন। ২০০৫ সালে যোগ দেন জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে। ২০১০ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের সঙ্গেই ছিলেন, পালন করেছেন সহকারী কোচের দায়িত্বও।
কোচ হিসেবে প্রায় ২৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সালাহউদ্দিন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ ও বিপিএলে একজন সফল কোচ হিসেবে পরিচিত। তার অধীনেই বিপিএলে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
এআর