• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কাটার মোস্তাফিজের তোপের মুখে আফগান শিবির


ক্রীড়া ডেস্ক নভেম্বর ৬, ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম
কাটার মোস্তাফিজের তোপের মুখে আফগান শিবির

ঢাকা: প্রতিপক্ষের উইকেট পতনটা শুরুটা করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। তারপর ‘কাটার’ খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান একাই তুলে নিলেন তিন উইকেট। তাদের আঘাতে কাঁপছে আফগানিস্তান। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) শারজাহতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩২ ওভার ৫ বলে ১৩৫ রান করেছে আফগানরা। বিনিময়ে তাদের হারাতে হয়েছে ৫টি উইকেট। 

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। তাসকিন আহমেদের ওভারের পঞ্চম বলে উইকেটের পেছনে খোঁচা দেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ওভারে শরিফুলকে চার হাঁকানো গুরবাজ সাজঘরে ফেরেন নিজের ৫ আর দলীয় ৭ রানে। 

গুরবাজের আউটের পর ক্রিজে আসেন রহমত শাহ। তবে সুবিধা করতে পারছিলেন না তিনি। এক প্রান্তে সেদিকুল্লাহ দারুণ খেললেও রহমত যেন নিজের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। এরপর বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। দলীয় অষ্টম ওভারে প্রথম বোলিং করতে এসে দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে পাঠান রহমত শাহকে। মোস্তাফিজের বল আউট সাইড অফ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল, জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছেন রহমত, ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। খোঁচা লেগে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। বল গ্লাভসবন্দি করতে ভুল করেননি মুশফিক। ৩০ রানে ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। 

এরপর আবারও এক ওভারে মোস্তাফিজের জোড়া আঘাত। রহমত শাহের পর সেদিকুল্লাহকে সাজঘরে পাঠালেন মোস্তাফিজ। প্রথম পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন সেদিকুল্লাহ। মোস্তাফিজের ফুলার লেন্থের বল আঘাত করে সেদিকুল্লাহর সামনের পায়ে। জোরালো আবেদনে সড়া দেন আম্পায়ার। অপর প্রান্তে থাকা হাশমতুল্লাহর সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেননি। অভিষেক ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। একই ওভারের পঞ্চম বলে নতুন ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ফেরান মোস্তাফিজ। শর্ট বলে খোঁচা লেগে যায় উইকেটের পেছনে। শূন্যরানে ফেরেন ওমরজাই। ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে আফগানিস্তান। পাওয়ার প্লেতে দলটির রান ৪ উইকেটে ৩৬।

মোস্তাফিজের ওভারে জোড়া উইকেটের পতনের পর প্রতিরোধ গড়েছিলেন হাশমতুল্লাহ-গুলবাদিন। দুজনে ধীর ধীরে এগোচ্ছিলেন সামনের দিকে। ৬১ বলে জুটি গড়েন ৩৬ রানের। এর বেশিদূর এগোতে দেননি তাসকিন। তার শর্ট বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন গুলবাদিন, টাইমিংয়ে গড়বড়। বল উঠে যায় আকাশে, মিড উইকেটে ক্যাচ নেন তানজীদ। ৩টি চারের মারে ৩২ বলে ২২ রান করেন গুলবাদিন। ৭১ রানে ৫ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। 

এসএস

Wordbridge School
Link copied!