ঢাকা: বিরল এক ঘটনার স্বাক্ষী হল ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। এমন ঘটনা ক্রিকেট মাঠে কমই দেখা যায়। ঘটনাটি অধিনায়কের ওপর রাগ করে সতীর্থ ক্রিকেটারের মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শাই হোপের প্রতি ক্ষোভ দেখিয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যান পেসার আলজারি জোসেফ।
ঘটনার সূত্রপাত ইংল্যান্ডের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের রান তখন ৩ ওভারে ১ উইকেট ১০। এ সময় কিছু একটা নিয়ে হোপের সিদ্ধান্ত মানতে পারছিলেন না জোসেফ। মাঠে ইশারায় কিছু একটা দেখাচ্ছিলেন। ধারাভাষ্যকারেরাও তখন বুঝে গেছেন জোসেফ খুশি নন।
সেই ওভারের চতুর্থ বলে জর্ডান কক্সকে আউট করেন জোসেফ। ঘণ্টায় ১৪৮ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি গতির শর্ট বলে কক্স মনে হয় কোনোমতো নিজেকে বাঁচিয়েছেন। তবে বল গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটকিপার হোপের হাতে। দুর্দান্ত এক বলে উইকেট শিকারের পরও কোনো উদ্যাপন করেননি জোসেফ। উদ্যাপনের সময় একাদশের বাইরে থাকা একাধিক ক্রিকেটার মাঠে ঢুকে পড়লে তাদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন এই পেসার।
এটুকুতে থামলেও হতো। জোসেফ ওভার শেষে মাঠ থেকেই বেরিয়ে যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ড্যারেন স্যামি বাউন্ডারির পাশে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেও পারেননি। ধারাভাষ্যকারেরা অবাক হয়ে তখন বলছিলেন, মাঠে অধিনায়ককে সম্মান করার কথা। সেসব কথা জোসেফের কানে পৌঁছানোর কথা নয়।
জোসেফ অবশ্য এক ওভার পরই মাঠে ফেরেন। তবে প্রথম ২ ওভারে ২ রান দেওয়া এই পেসারকে আবার বোলিংয়ে আনা হয় ইনিংসের ১২তম ওভারে। ম্যাচে ১০ ওভার বল করে ৪৫ রান দিয়েছেন তিনি, নিয়েছেন ২ উইকেট।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক হোপের কাছে জোসেফের রেগে যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু হোপ এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি, ‘মন্তব্য করতে চাই না। খেলায় এমনটা হতেই পারে।’
তবে কোচ স্যামি বিষয়টিকে মোটেও ভালোভাবে নেননি। টক স্পোর্টসের সঙ্গে আলোচনায় জোসেফের ব্যবহারকে অগ্রহণযোগ্য বলছেন স্যামি, ‘ক্রিকেট মাঠে এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য। আমরা সবাই বন্ধু হয়ে থাকব। আমি যে সংস্কৃতি তৈরির চেষ্টা করছি, সেখানে এটা মেনে নেওয়া যায় না। এই বিষয়ে আমরা অবশ্যই কথা বলব।’
এআর