ঢাকা : না, গোল হয়নি। অফসাইডে বাতিল। তবে শুরুর ওই ‘হেঁচকি’তেই ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টা কিছুটা যেন গুটিয়েই থাকল বার্সেলোনা। এ সময়ে বার্সা গোল করেছে, গোল হজমও করেছে, কিন্তু ম্যাচে নিয়ন্ত্রকের ভাবটা ঠিক ফুটে ওঠেনি।
তবে বিরতির আগে এবং পরেই স্বরূপে দেখা দিল হান্সি ফ্লিকের দল। নব্বই মিনিট শেষে যার ফলাফল, রেডস্টার বেলগ্রেডের জালে বার্সেলোনার ৫ গোল। সার্বিয়ান ক্লাবটিও যে কিছুই করেনি তা নয়। তবে রেডস্টারের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে বার্সেলোনা।
তবে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় আজকের রাতটা ভালো যায়নি পিএসজির। প্যারিসে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে শেষ মুহূর্তের গোলে ২-১ গোলে হেরেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
বেলগ্রেডের রাইকো মিতিচ স্টেডিয়ামে বার্সেলোনা প্রথম গোলের দেখা পায় ১৩তম মিনিটে। রাফিনিয়ার ফ্রি কিক থেকে হেডে দলকে এগিয়ে দেন ইনিও মার্তিনেজ। তবে ২৭তম মিনিটে সিলাস এমভুমপার গোলে সমতা নিয়ে আসে বেলগ্রেড।
বিরতির আগে ৪৩তম মিনিটে রাফিনিয়ার কাছ থেকে পাওয়া বলে বার্সেলোনাকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন লেভানডফস্কি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রাফিনিয়ার বাড়ানো বল ধরে ব্যবধান ৩-১ করার সুযোগ ছিল পোলিশ তারকার সামনে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে বল পোস্টের বাইরে পাঠান তিনি। তবে দ্বিতীয় গোলের আক্ষেপে অবশ্য বেশিক্ষণ পুড়তে হয়নি তাঁকে। ৫৩তম মিনিটে জুলস কুন্দে ডান পাশ থেকে বক্সের সামনে এমন এক বল বাড়ান, লেভাকে শুধু দাঁড়িয়ে থেকে শরীরটা গোলমুখী করে গায়ে লাগাতে হয়েছে।
লেভানডফস্কির করা দ্বিতীয় গোলটি ছিল উয়েফার প্রতিযোগিতায় বার্সার ৭০০তম।
বার্সেলোনা পরে আরও দুটি গোল পায় জুলস কুন্দের সৌজন্য। এই ফরাসি রাইট ব্যাকের অ্যাসিস্টে ৫৫তম মিনিটে গোলদাতার খাতায় নাম লেখান রাফিনিয়া, ৭৪তম মিনিটে ফারমিন লোপেজ।
৫-১ গোলে পিছিয়ে যাবার পর ৮৪তম মিনিটে মিলসনের সৌজন্যে আরেকটি গোল শোধ করে বেলগ্রেড। যদিও শেষ দিকে লোপেজ একটি সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বড়ই হতো।
মোনাকোর কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা বার্সেলোনা টানা তৃতীয় জয় তুলে পয়েন্ট তালিকার ছয় নম্বরে উঠে এসেছে। ৩৬ দলের মধ্যে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে লিভারপুল।
এ দিকে প্যারিসে আতলেতিকোর কাছে হেরে পয়েন্ট তালিকার ২৫ নম্বরে নেমে গেছে পিএসজি। ম্যাচের ১৪তম মিনিটে জাইর-এমিরির গোলে পিএসজিই প্রথম এগিয়ে যায়। চার মিনিট বাদে আতলেতিকো সমতায় ফেরে নাহুয়েল মোলিনার গোলে।
প্রথম ১৮ মিনিটের মধ্যে হওয়া ১-১ সমতা নিয়েই ম্যাচের নব্বই মিনিট পার হয়। দুই দলের পয়েন্ট ভাগাভাগি যখন প্রায় নিশ্চিত, তখনই যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ম্যাচের শেষ কিকে থেকে আক্রমণে গিয়ে আতলেতিকোকে গোল এনে দেন আনহেল কোরেয়া। স্প্যানিশ ক্লাবটি পায় তিন পয়েন্টের নাটকীয় জয়।
এরপরও অবশ্য খুব একটা স্বস্তিতে নেই দিয়েগো সিমিওনের দল। চতুর্থ ম্যাচে এসে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পাওয়া আতলেতিকো এখন ৩৬ দলের মধ্যে ২৩ নম্বরে।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :