ঢাকা: ম্যাচের ৩৩ মিনিটে বাজে একটি ফাউলের জন্য হলুদ কার্ড দেখেন প্যারাগুয়ে ডিফেন্ডার ওমর আলদেরেতে। কিন্তু ভুল থেকে শিক্ষা নেননি।
ঠিক চার মিনিট পর আবারও ফাউল, এবার তার শিকার লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের জোরালো দাবির মুখেও আলদেরেতেকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখাননি ব্রাজিলিয়ান রেফারি অ্যান্ডারসন দারোঙ্কো।
ব্যাপারটা মোটেই ভালো লাগেনি মেসির। বিরতির সময় মাঠেই রাগ ঝেড়েছেন। এরপর সংবাদ সম্মেলনেও রেফারিকে অন্যভাবে কাঠগড়ায় তুলেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।
দারোঙ্কোকে সরাসরি কিছুই বলেননি স্কালোনি। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে রেফারিং নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল তার কাছে। স্কালোনি যা বলেছেন, তা সরাসরি অভিযোগ তোলার চেয়ে কম নয়, ‘অনেক কিছুই বলতে পারি…কিন্তু সেসব অর্থহীন ও অজুহাত মনে হবে। তাই এসব না বলাই ভালো, তাতে অজুহাত মনে হবে না এবং লোকেও এভাবে ভাববে না। মাঠে কী ঘটেছে আমরা সবাই দেখেছি। ফলের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’
স্কালোনি অতীতে এসব ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথাও বলেন, ‘এসব থেকে আমি অনেক কিছুই শিখেছি। কোনো কিছু সঠিক প্রমাণ করতে এসব অজুহাতের মতো শোনায় এবং লোকেও অন্যভাবে দেখে। তাই এসব পেছনে ফেলে আসাই ভালো।’ ৩৭ মিনিটে মেসি প্রতি আক্রমণে ওঠার সময় তাকে বাজেভাবে ফাউল করে ফেলে দেন আলদেরেতা।
দারোঙ্কো তখন তাকে কার্ড দেখালে মোট দুটি হলুদ কার্ডে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হতো হেতাফে সেন্টার ব্যাককে। কিন্তু সেটি না হওয়ায় দারোঙ্কো মাঠেই বিষোদ্গারের শিকার হন। বিরতির সময় নিকোলাস ওতামেন্দিকে সঙ্গে নিয়ে মাঠেই তাঁর ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন মেসি। আঙুল তুলে কিছু একটা বলতে দেখা গেছে মেসিকে।
ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার সমর্থকদেরও রেফারির ওপর আরও বেশি ক্ষোভ জমার কথা। কারণ ৪৭ মিনিটে হেড থেকে এই আলদেরেতের গোলেই ২-১ গোলে এগিয়ে যায় প্যারাগুয়ে এবং শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই হেরেছে আর্জেন্টিনা।
এআর