ঢাকা: আর্জেন্টাইন ফুটবলের কিংবদন্তি, ডিয়েগো ম্যারাডোনাবিহীন চার বছর আজ। ২০২০ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফুটবলের এই তারকা। তার স্মৃতি আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে অমলিন।
১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর বুয়েন্স আয়ার্সের উপকণ্ঠে অবস্থিত ভিলা ফিয়োরিতোতে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ম্যারাডোনা।
ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি গভীর ভালোবাসা ছিল তার। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি 'লস সেবোলিতাস' নামে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের যুব দলে যোগ দেন। ১৫ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে আত্মপ্রকাশ এবং ১৬ বছর বয়সে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি দ্রুত ফুটবল দুনিয়ায় পরিচিতি লাভ করেন।
আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক, যিনি আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া, এবং নিউয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন, তার অবদান ভুলে যাওয়া অসম্ভব। তার খেলার জাদু ও ব্যক্তিত্ব আজও তাকে ফুটবলের আইকন করে রেখেছে।
ম্যারাডোনার ফুটবল ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত ছিল ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হিসেবে তিনি দলকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন। সেই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের দুটি গোল আজও ইতিহাসের অংশ: 'হ্যান্ড অব গড' এবং 'গোল অব দ্য সেঞ্চুরি।'
ক্লাব পর্যায়ে তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সময় ছিল ইতালির নাপোলিতে, যেখানে তিনি ১৯৮৭ ও ১৯৯০ সালে দলকে প্রথমবারের মতো সিরি এ শিরোপা জিতিয়েছিলেন। তবে তার ক্যারিয়ার ছিল বিতর্কময়ও, যার মধ্যে কোকেইন সেবনের জন্য ১৯৯১ সালে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা অন্যতম।
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সে মারা যান ম্যারাডোনা। চার বছর পরেও, ম্যারাডোনার মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত চলছে। তার সেবায় নিযুক্ত নার্স জিসেলা দাহিয়ানা মাদ্রিদের বিরুদ্ধে 'ইচ্ছাকৃত হত্যার' অভিযোগে বিচার কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি।
এই মাসের ২৯ তারিখে বিচারক মারিয়া কোয়েলো নতুন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এদিকে, ২০২৫ সালের ১১ মার্চ থেকে অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হবে। এর মধ্যে রয়েছেন নিউরোসার্জন লিওপোল্ড লুক, মনোবিজ্ঞানী অগাস্টিনা কোসাচভ, নার্স রিকার্ডো আলমিরনসহ আরও অনেকে।
এআর