ঢাকা: বিসিবির কাছে চিঠি দিয়ে পরিচালকদের শূন্য পদের সংখ্যা ও নির্বাচনের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
তার পরিপ্রেক্ষিতে শূন্য পদের সংখ্যা জানালেও নির্বাচন নিয়ে কিছু বলেনি বোর্ড। ক্লাব ও বিভাগ থেকে সাতজন করে আর একজন সাবেক খেলোয়াড়ের ক্যাটেগরিতে ১৫টি পরিচালক পদ শূন্য হয়েছে। ১০ জন পরিচালক নিয়ে চলছে বোর্ড।
মূলত কোরাম পূরণের জন্য আগের কমিটি থেকে ৮ জনকে রেখে দেওয়া হয়েছে। তাদের থেকে তিনজন পদত্যাগ করলেই নির্বাচন করতে বাধ্য হবে বিসিবি।
বর্তমান বাস্তবতায় তেমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তাই ‘বাই ইলেকশন’ না দিয়ে ১০ জনের পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে বোর্ড চালাচ্ছেন ফারুক আহমেদ। জেলা, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি বাতিল করায় পরিচালকদের শূন্য পদে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা কিছুদিন আগেই এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, জোড়াতালি দিয়ে চলছে বিসিবি। ২৫ জনের জায়গায় ১০ জনের পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে বোর্ড চালানো জোড়াতালিই বটে। এই ১০ জনের একাংশের মধ্যে আছে অসন্তোষ। নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে কোনো বিভাগের চেয়ারম্যান করা হয়নি।
পরিচালক ফাহিম সিনহাকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি বিভাগের। আকরাম খান, ইফতেখার আহমেদ মিঠু, সালাউদ্দিন চৌধুরী, মনজুরুল আলম একটি করে বিভাগের দায়িত্বে আছেন। তারা আগে থেকেই এই দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, ফাইন্যান্স কমিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ নিজের হাতে রেখে দিয়েছেন সভাপতি ফারুক আহমেদ। বিসিবিকে আরও গতিশীল করতে পরিচালকদের শূন্য পদে নির্বাচন দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কিনা- জানতে চাওয়া হলে বিসিবি প্রধান লিখিত মেসেজে জানান, ‘জেলা ও বিভাগী ক্রীড়া কমিটি নেই। তাই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে এনএসসি সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিলাম শূন্য পদে নির্বাচন দেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কিনা।’ এই চিঠির ভেতরেই অন্তর্নিহিত আছে সরকার চায় বিসিবির পরিচালকদের শূন্য পদে নির্বাচন হোক। নির্বাচন করা না করা বিসিবির ওপর নির্ভর করায় এনএসসি নিজে থেকে উদ্যোগ নিতে পারছে না।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ক্লাব থেকে ১২ জন, বিভাগ থেকে ১০ জন এবং সাবেক খেলোয়াড় ও সংস্থা থেকে একজন পরিচালক নির্বাচিত হন। এনএসসির কোটায় মনোনীত হন দু’জন পরিচালক। জেলা, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি না থাকায় ৭টি পদে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব না হলেও ক্লাব ক্যাটেগরিতে নির্বাচন হতে পারে। যদিও জেলা ও বিভাগীয় কাউন্সিলের তালিকা বিসিবির কাছে আছে। সরকার ওই তালিকায় পরিবর্তন করতে গেলে হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে।
এআর