ঢাকা: জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথম ওয়ানডে হেরে তোপের মুখে পড়েছিল পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেতে দাপুটে জয় তুলে নিয়ে সিরিজ জিতেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। আর তাতে মূল অবদান কামরান গোলামের।
কামরান বলতে পাকিস্তানের ক্রিকেটে একসময় সবাই চিনতেন কামরান আকমলকে। আকমল ভাইদের বড় ভাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন অনেক দিন আগে। এবার নতুন কামরানের আবির্ভাব- তিনি কামরান গোলাম। প্রথম ওয়ানডেতে ভালো করতে পারেননি।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। তবে কামরান নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখলেন সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে। দলকে সিরিজ জয় এনে তো দিলেনই, সাথে তুলে নিলেন নিজের প্রথম সেঞ্চুরি।
একইসাথে যা ওয়ানডে ফরম্যাটে তার প্রথম পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির দেখা পান ২৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
শেষ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক রিজওয়ান। উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরু এনে দেন সাইম আইয়ুব ও আব্দুল্লাহ শফিক।
৩৭ বলে ৩১ রান করে আগের ম্যাচে ঝড়ো সেঞ্চুরি হাঁকানো সাইম বিদায় নিলে কামরান গোলামকে নিয়ে হাল ধরেন আব্দুল্লাহ শফিক। ৬৮ বলে ৫০ রান করে শফিক সাজঘরে ফিরলে কামরানের সঙ্গী হন অধিনায়ক রিজওয়ান।
৩৭ রান করা রিজওয়ান একটুর জন্য পাননি ফিফটির দেখা। তবে ৪৫তম ওভারে থামবার আগে কামরান তুলে নেন আন্তর্জাতিক ওয়ানডের প্রথম ও লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারের ৯ম সেঞ্চুরি। ৯৯ বল মোকাবেলায় ১০৩ রান করার পথে হাঁকান ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা। এছাড়া আঘা সালমান ৩০ ও তয়াব তাহির ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
তাদের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান দাঁড়ায় পাকিস্তানের সংগ্রহ। জয়ের জন্য যা ছিল যথেষ্টর চাইতেও বেশি। জবাব দিতে নেমে দলীয় ১০ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিক দল।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ক্রেইগ আরভিনের অর্ধশতক দলকে আশা দেখালেও পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষপর্যন্ত ৪০.১ ওভারে ২০৪ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
পাকিস্তানের পক্ষে দুটি করে উইকেট পান সাইম আইয়ুব, আবরার আহমেদ, হারিস রউফ ও আমের জামাল। ৯৯ রানের জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে পাকিস্তান।
এআর