ঢাকা: ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে সৌদি আরবের নামটা অবধারিতই ছিল। অপেক্ষা ছিল কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। গতকাল সেই নিশ্চয়তাও দিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। তবে এই ঘোষণার পথে ইতিহাসও গড়েছে সৌদি আরব।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে ফিফার কাছ থেকে আয়োজক হিসেবে সবচেয়ে বেশি নাম্বার পেয়েই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের আয়োজক হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। পাশ্চাত্যের বহু দেশের আপত্তি থাকার পরেও ফিফা সৌদি আরবকে ৫ এর মধ্যে ৪.২ দিয়েছে। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সেইসঙ্গে ২০৩৪ বিশ্বকাপে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি মধ্যম বলেও উল্লেখ করেছে তারা। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দাবি, সংস্কারের জন্য এটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করতে পারে।
ফিফার ভাষ্য, অবকাঠামোগত কাজ চলমান হলেও সৌদি আরবের প্রস্তাবে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। যদিও গ্রীষ্মের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। যে কারণে খেলার সময় নিয়ে উচ্চ ঝুঁকির কথা স্বীকার করেছে ফিফা। সে কারণে সম্ভাব্য কোনো সূচি এখনো ঠিক করা হয়নি।
এমন আবহাওয়াগত জটিলতার কারণে বিশ্বকাপ শীতের সময়ে হতে পারে। যেমনটা দেখা গিয়েছিল ২০২২ সালের কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হয়েছিল স্মরণীয় সেই বিশ্বকাপ। ১২ বছরের ব্যবধানে আরও একবার ফিরতে পারে শীতকালীন ফুটবল বিশ্বকাপ।
বর্তমানে বেশ জোরেশোরেই ১০ বছর পরে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের জন্য অবকাঠামো নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছে সৌদি আরব। আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল কাতার। সেই চ্যালেঞ্জই এবার সৌদি আরবের সামনে।
দেশটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী, বিশ্বকাপে খেলা হবে ১৫টি স্টেডিয়ামে। এর মধ্যে নতুন করে বানানো কিং সালমান স্টেডিয়ামে হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ। স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা হবে ৯২ হাজার। বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্যহ প্রস্তাবিত এই স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হবে ২০৩২ সালে। এর আগে অবশ্য ২০২৭ এশিয়ান কাপকে সামনে রেখে আরও ৩টি স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হওয়ার কথা আছে।
উল্লেখ্য, পরবর্তী বিশ্বকাপ ২০২৬ সালে হবে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের তিন দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোতে। ২০৩০ সালের শতবছরের বিশ্বকাপ হবে ৩ মহাদেশ আর ৬ দেশ মিলিয়ে। আয়োজক থাকবে স্পেন, পর্তুগাল, মরক্কো। তবে প্রথম বিশ্বকাপের প্রতি সম্মান দেখিয়ে শুরুর ৩ ম্যাচ হবে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে।
এআর