ঢাকা : বোলিং বিভাগে ধারাবাহিক ভালো করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পেস ও স্পিন মিলিয়ে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ এখন অন্য পর্যায়ের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাওয়া টেস্ট ম্যাচ জয়ের নায়ক অভিজ্ঞ স্পিনার তাইজুল ইসলাম জানালেন, বিশ্বের যেকোনো দলের সঙ্গে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করতে পারেন বাংলাদেশের বোলাররা।
ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা তাইজুল বলেন, ‘আমাদের যে পেস আক্রমণ ও স্পিন আক্রমণ এখন আছে, আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই খেলে আসছি এবং সবারই ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা অবশ্যই বিশ্বের যে কোনো দলের (বোলিং আক্রমণের) সঙ্গে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করতে পারব।’
বল হাতে সব ধরনের পরিস্থিতির দলের চাহিদা পূরণ করতে পেরে খুবই খুশি তাইজুল। তিনি বলেন, ‘আমার বোলিং নিয়ে অবশ্যই বলতে পারেন আমি সন্তুষ্ট। কারণ দলের যখন যেটা চাওয়া ছিল, পূরণ করতে পেরেছি এবং এই ম্যাচে যখন চতুর্থ ইনিংসে বোলিং করতে এসেছি, আমার ওপর সবার একটা বড় চাওয়া ছিল। সেটা সফল করতে পেরেছি এবং এটায় ভালো অনুভব করছি।’
নিজের পারফরম্যান্সের চেয়ে তার বেশি উচ্ছ্বাস দলের জয় নিয়ে। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে ছাড়া তরুণ দল নিয়ে কঠিন কন্ডিশনে যেভাবে জিতেছে দল এবং পিছিয়ে পড়েও সিরিজে ড্র করতে পেরেছে বাংলাদেশ। এটা অনেক গর্বের বিষয়।
তাইজুল বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের বাংলাদেশ দলের জন্য এটা অনেক বড় পাওয়া। কারণ, এই দলে বেশ কিছু তরুণ ছেলে ছিল। কিছু লোক ছিল যারা ৮-১০ বছর ধরে খেলছে। তবে দলের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। সবার ভালো একটা একটা ছিল এবং সবার মধ্যে ওই ব্যাপারটা ছিল যে, ম্যাচ জিতব। সবাই যে চেষ্টা করেছে, এটা অসাধারণ ও অতুলনীয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘কন্ডিশন আমাদের জন্য কঠিন ছিল। বাইরের কন্ডিশনে এসে ম্যাচ জিততে পারাটাও দারুণ ব্যাপার। আমাদের জন্য এটা গর্বের ব্যাপার।’
তাইজুলের গর্ব আছে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ নিয়েও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশির ভাগ সময় ব্যাটিংয়ের কারণেই ধুঁকতে হয় দলকে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই বোলিং আক্রমণ দারুণ ক্ষুরধার। নিজেদেরকে সেখানে বিশ্বসেরাদের কাতারেই রাখেন তিনি।
এ নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে আগে দুই দফায় ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তাইজুল। এবার দেশের বাইরের প্রথমবারের মতো ম্যাচসেরার পুরস্কার পেলেন তিনি।
এমটিআই