ঢাকা : ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে চরম দুর্দিন কাটছে সাকিব আল হাসানের। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে জাতীয় দলে সুযোগ না পেয়ে তিনি বিভিন্ন বিদেশি লিগে খেলে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু সেসব লিগেও দেখা দিয়েছে নানারকম সমস্যা। পেয়েছেন বোলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা। আবার শ্রীলঙ্কায় তার দলের মালিক ফিক্সিংয়ের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আর জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন কিনা- তা কেউ জানে না। তবে আপাতদৃষ্টিতে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে তিনি দেশেও ফিরতে পারছেন না, খেলতে পারছেন না জাতীয় দলে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও শেষ হয়ে গেছে। আগামী বিপিএলে তার খেলা হবে কিনা- সেটা পুরোপুরি অনিশ্চিত।
সাকিবকে এখন তাই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বিদেশি লিগে। এর মাঝে গত সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে ইংলিশ কাউন্টিতে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন। দারুণ বোলিং করলেও ওই ম্যাচে তার অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বোলিং পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারেননি সাকিব। গতকাল শুক্রবার জানা যায়, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত সকল টুর্নামেন্ট থেকে তার বোলিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কাটাতে তার অ্যাকশনের ত্রুটি কাটিয়ে উঠতে হবে।
একই দিনে খবর আসে, লঙ্কা টি-টেন সুপার লিগে সাকিবের দল গল মারভেলসের মালিক প্রেম ঠাকারকে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালত তাকে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে! প্রেম ঠাকার তার দলের এক বিদেশি খেলোয়াড়কে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে সেই খেলোয়াড় তার প্রস্তাব গ্রহণ না করে ফিক্সিং-বিরোধী ইউনিটকে জানিয়ে দেন। এতে সাকিবের সংশ্লিষ্টতার কথা শোনা না গেলেও তিনি তো সেই দলেই খেলছেন!
এ মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে বিপিএল। এবার সাকিবকে দলে নিয়েছে চিটাগং কিংস। বিপিএল খেলতে হলে সাকিবকে দেশে ফিরতে হবে। কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে দেশের মাটিতে তার শেষ টেস্ট খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বিপিএলের আগে সেই নিরাপত্তা পরিস্থিতির কোনো উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। চিটাগং মালিক সামির কাদেরও বলেছেন, ‘সাকিবের আসার ব্যাপারে এখনও উনি কিছু বলেননি। পজিটিভও বলতে পারছি না। এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।’
এমটিআই