Menu
ঢাকা: কয়েক বছর ধরে মাঠের পারফরম্যান্সে অন্যতম সফল দল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে এবারের মৌসুমটা একদমই ভালো যাচ্ছে না তাদের। সর্বশেষ ৪ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ জেতা দলটি এবার ১৫ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে।
আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তো নকআউটে ওঠাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের জন্য। তবে এতকিছুর মধ্যেও সুখবর থাকছে দলটির জন্য। ২.২ মিলিয়ন পাউন্ড থেকে তাদের আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৫ মিলিয়ন পাউন্ডে।
এর মধ্যে তাদের লাভ রয়েছে ৭৩.৮ মিলিয়ন পাউন্ড। তবে লাভের অঙ্ক হিসাব করলে, আগের বছরের চেয়ে সংখ্যাটি কমেছে। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও প্রিমিয়ার লিগসহ শিরোপার ট্রেবল জিতে লাভ আরও বেশি ছিল সিটির।
সিটির এই লাভের যাত্রাটা চলছে অনেক আগে থেকেই। ২০১৪-১৫ থেকে (কোভিড মহামারির ২০১৯-২০ মৌসুম বাদে) প্রতি মৌসুমেই লাভ করছে সিটি। গত বছরে নিজেদের রেকর্ড আয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে খেলোয়াড় ও কর্মীদের বেতনখাতে ব্যয় কমার বিষয়টি। বেতনবাবদ এই সময়ে সিটির ব্যয় এক কোটি তিন লাখ পাউন্ড কমে হয়েছে ৪১ কোটি ২৬ লাখ পাউন্ড। ফলে কর দেওয়ার আগে তাদের লভ্যাংশ দাঁড়িয়েছে সাত কোটি ৩৮ লাখ পাউন্ডে।
সিটির আয়ের এই উর্ধ্বগতি চলতি মৌসুম শেষে নাও থাকতে পারে। এর কারণ তাদের সাম্প্রতিক মাঠের পারফরম্যান্স। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গত ১০ ম্যাচে তাদের জয় স্রেফ একটি। এই সময়ে সাতটিতে হার এবং দুটিতে ড্র করেছে। দলের এই করুণ দশায় প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে গার্দিওলার শিষ্যরা। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তারা বাদ পড়ার শঙ্কায়, পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান ২২ নম্বরে।
এই মৌসুমে সিটির দুর্দশার পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি চোটগ্রস্ত স্কোয়াড। গত মৌসুমের পারফরম্যান্সে ব্যালন ডি’অরজয়ী রদ্রিগো হার্নান্দেজ ছিটকে গেছেন এসিএল ইনজুরিতে। এ ছাড়া চার সেন্টারব্যাক রুবেন দিয়াজ, জন স্টোন্স, ম্যানুয়েল আকাঞ্জি ও নাথান অ্যাকে-কে পাচ্ছেন না গার্দিওলা। কেভিন ডি ব্রুইনা ইনজুরি থেকে ফিরলেও স্বাভাবিক ছন্দে নেই।
এর বাইরে কাইল ওয়াকার, জ্যাক গ্রিলিশ, জেরেমি ডকু, অস্কার ববরা-ও ইনজুরিতে পড়েছেন। আবার মৌসুম শুরুর আগে হুলিয়ান আলভারেজ, জোয়াও কান্সেলো ও লিয়াম ডেলাপকে ছেড়ে দেয় সিটি।
এআর
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT