ঢাকা : রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দেশের পরিস্থিতির কারণে তাকে দলে ফেরানো যাচ্ছে না, আবার বাদ দিলেও হচ্ছে সমালোচনা। এরই মাঝে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ করল ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তবে বিসিবি এই সুযোগটি না নিয়ে সাকিবের পাশেই দাঁড়িয়েছে।
আইসিসির সন্দেহজনক ও ত্রুটিপূর্ণ বোলিং বিষয়ক নীতিমালার ১১.৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন যদি একজন বোলারকে তাদের নিজস্ব নীতিমালার অধীনে ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ করে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যদি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণী বিধি অনুযায়ী করা হয়, তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞাকে আইসিসি আমলে নেবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরোপ করবে।’
১৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হলো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আসন্ন বিপিএলে সাকিব খেলতে পারবেন কিনা? ঘরোয়া লিগগুলোর বিষয়েও আইসিসির নীতিমালায় বলা আছে, ‘জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশনগুলোর অধীনস্থ ঘরোয়া ক্রিকেটেও কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া একই নোটিশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়ে যাবে। আইসিসি এবং জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশনগুলো সিদ্ধান্ত আরোপ ও কার্যকরের জন্য সব পদক্ষেপ বিধিসম্মতভাবে নেবে।’
সুতরাং এটা পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে যে, আইসিসি যদি ইসিবির এই সিদ্ধান্তকে আমলে নেয়, তাহলে সাকিব সব ধরনের ক্রিকেটে বোলিং করা থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন। তবে বিপিএল খেলার একটা সুযোগও আছে সাকিবের সামনে। আইসিসির ১১.৪ অনুচ্ছেদ বলা আছে, ‘১১.১ ও ১১.৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কোনো খেলোয়াড়কে তার দেশের ক্রিকেট ফেডারেশন ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় বোলিং চালিয়ে যেতে অনুমতি দিতে পারবে (তবে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই)।’
সাকিবকে খেলানোর জন্য এই সুযোগটাই নিতে চাইছে বিসিবি। দেশ রূপান্তরকে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনসের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস বলেছেন, ‘যেকোনো বোলারের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হলে সেটা শুধরানোর জন্য ম্যাচ খেলতে হবে। তাই দেশের ক্রিকেটে সাকিবের খেলতে কোনো বাধা নেই। তবে দুটি বিষয় আমরা আইসিসির কাছে জানতে চেয়েছি। প্রথমটি হলো কোন কোন প্রতিযোগিতায় সে খেলতে পারবে এবং কোথায় কোথায় নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য সেটা। দ্বিতীয়টি হলো, যেহেতু ইসিবি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাই অ্যাকশন শুধরে পরীক্ষাটা ইসিবির আন্ডারেই দিতে হবে নাকি বিসিবির স্বীকৃত কোনো বোলিং অ্যাকশন ল্যাবে পরীক্ষা দিলেও হবে? এই দুটি বিষয়ের জবাবের অপেক্ষায় আছি আমরা।’
এমটিআই