• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১

ফিফার ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ


ক্রীড়া ডেস্ক ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪, ১২:২২ পিএম
ফিফার ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ

ঢাকা : অনেক শিরোপায় ঠাসা রিয়াল মাদ্রিদের শোকেসে যুক্ত হলো আরেকটি শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক। নতুন আঙ্গিকের ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতে সাফল্যে ভরা বছরটি আরেকটি অর্জন দিয়ে শেষ করল ইউরোপের সফলতম দলটি।

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতের ফাইনালে মেক্সিকোর পাচুকা এফসিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।

কিলিয়ান এমবাপে প্রথমার্ধে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান রদ্রিগো। আর শেষ দিকে তৃতীয় গোলটি করে জয় নিশ্চিত করেন ভিনিসিউস জুনিয়র।

চলতি বছরে এটি রেয়ালের পঞ্চম শিরোপা। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা, উয়েফা সুপার কাপ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতে তারা।

আগের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের বদলে ছয় মহাদেশের সেরা ক্লাবগুলোকে নিয়ে নতুন আঙ্গিকে শুরু হলো ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ। এর প্রথম আসরের ফাইনালে সরাসরি জায়গা করে নেয় রেয়াল।

ইতিবাচক শুরু করা পাচুকাই পায় প্রথম সুযোগ। সপ্তম মিনিটে লুইস রদ্রিগেসের দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন থিবো কোর্তোয়া।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে বেশ জমে ওঠা ম্যাচে ৩৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় রেয়াল। এমবাপের গোলে দারুণ অবদান মঙ্গলবার ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ী ভিনিসিউসের।

গতিতে ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলার পর পায়ের কারিকুরিতে গোলরক্ষককে এড়িয়ে বাইলাইনের কাছাকাছি চলে যান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। সেখান থেকে চমৎকার কাটব্যাকে খুঁজে নেন এমবাপেকে। অরিক্ষত ফরাসি ফরোয়ার্ড অনেকটা শুয়ে পড়ে পা ছুঁয়ে খুঁজে নেন ঠিকানা। লক্ষ্যে এটাই রেয়ালের প্রথম শট।

৫৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রদ্রিগো। এমবাপের কাছ থেকে বল পেয়ে পায়ের কারিকুরিতে পাচুকার খেলোয়াড়দের এড়িয়ে ডি-বক্সের মাথা থেকে বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ভিএআর মনিটরে অনেকবার রিপ্লে দেখে গোল দেন রেফারি।

রদ্রিগো শট নেওয়ার সময় গোলরক্ষকের সামনেই ছিলেন জুড বেলিংহ্যাম। সতীর্থ শট নেবেন বুঝতে পেরে মাটিতে বসে পড়েন ইংলিশ মিডফিল্ডার। সে কারণেই টিকে যায় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের গোল। দাঁড়িয়ে থাকলে গোলরক্ষকের সামনে বেলিংহ্যাম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতেন, সেক্ষেত্রে হতেন অফসাইড, মিলতো না গোল।

৭১তম মিনিটে একটুর জন্য হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সালোমন রন্দন, হাতছাড়া হয় ব্যবধান কমানোর সুযোগ। তিন মিনিট পর ভিনিসিউসের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন পাচুকা গোলরক্ষক।

৮৪তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান বাড়ান ভিনিসিউস। লুকাস ভাসকেসকে পাচুকার ওসামা ইদ্রিসি ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি।

যোগ করা সময়ে চমৎকার হেডে রেয়ালের জাল বল পাঠান পাচুকার আনহেল মেনা। তবে তিনি নিজেই অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!