ঢাকা: এবারের বিপিএল শুরুর আগের দিন টিকিট না পেয়ে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সামনে বিক্ষোভ করেছেন দর্শকেরা। টুর্নামেন্ট শুরুর দিন তো স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গেটই ভেঙে ফেলেন বিক্ষুব্ধরা।
আর বৃহস্পতিবার দুপুরে টিকিট না পেয়ে দর্শকেরা আগুন দিয়েছেন শেরেবাংলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সের টিকিট কাউন্টারে। বিক্ষুব্ধ মানুষ ভাঙচুর করেছে সুইমিং কমপ্লেক্সের স্থাপনায়ও।
আজকের দুই ম্যাচের টিকিটের জন্য সকাল থেকেই সুইমিং কমপ্লেক্সের সামনের বুথের সামনে জড়ো হতে থাকেন দর্শকেরা। একপর্যায়ে কাউন্টার থেকে আর টিকিট নেই জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। অনেকে কাউন্টারের বাঁশ খুলে তা দিয়ে সুইমিং কমপ্লেক্সের বাইরের গেট ভাঙচুরের চেষ্টা করেন।
একপর্যায়ে কয়েকজন দর্শক কাউন্টারে আগুন লাগিয়ে দেন। সুইমিং কমপ্লেক্সের গ্লাসও ভাঙচুর করেন দর্শকেরা। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে বিক্ষুব্ধ দর্শকদের সরিয়ে দেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশকে লাঠিচার্জও করতে হয়েছে।
বিপিএলের টিকিট নিয়ে কেন নিয়মিতই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির টিকিট কমিটির এক কর্মকর্তা জানান, সাধারণ গ্যালারির ২০০ টাকার সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেলে দর্শকদের ৫০০ টাকা দামের ক্লাব হাউজ গ্যালারির টিকিট নিতে বলা হয়।
এতে কিছু দর্শক ক্ষুব্ধ হন। আবার পরে ক্লাব হাউজ গ্যালারির টিকিটও শেষ হয়ে গেলে বাকি থাকে শুধু ২ হাজার টাকা দামের গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড গ্যালারির টিকিট। এত দামি টিকিট কিনতে চাননি বেশির ভাগ দর্শক।
কিন্তু সাধারণ গ্যালারি আর ক্লাব হাউজ গ্যালারির টিকিট যদি সকাল সকালই শেষ হয়ে যাবে, ঢাকা ক্যাপিটালস ও দুর্বার রাজশাহীর প্রথম ম্যাচের সময় গ্যালারির বেশির ভাগ অংশ ফাঁকা পড়ে থাকল কেন, সেটা একটা প্রশ্ন।
এ ব্যাপারে টিকিট কমিটির ওই কর্মকর্তার বক্তব্য, ‘দর্শকেরা টিকিট কিনে নিয়েছেন। এখন টিকিট কিনে কেউ মাঠে না এলে তো কিছু করার নেই। আবার হতে পারে প্রথম ম্যাচে না এলেও বরিশাল-রংপুরের পরের ম্যাচে দর্শকেরা আসবেন।’ তিনি দাবি করেন, টুর্নামেন্টের প্রথম দুই দিনেই ১ কোটি টাকার ওপরে টিকিট বিক্রি হয়েছে।
এআর