Menu
ঢাকা: শেষ তিন ম্যাচে সবমিলিয়ে শাকিব খানের ঢাকার একাদশে পরিবর্তন এসেছে ১৫টি। তবুও হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দলটি। এনিয়ে টানা ৬ ম্যাচে হারল দলটি।
বড় সংগ্রহ গড়েও শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে হেরেছে থিসারা পেরার দল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে ঢাকা। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে ৮ বল আগেই জয় পায় সিলেট।
টস হেরে একাদশে পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে ঢাকা ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা। প্রথম ওভারেই অবশ্য হারিয়ে ফেলে তানজিদ হাসান তামিমকে। কিন্তু এরপরই বড় জুটি গড়েন লিটন দাস ও মুনিম শাহরিয়ার। দুজনেই পান হাফ সেঞ্চুরি।
তাদের ৮৮ বলে ১২৯ রানের জুটিটি ভাঙেন কর্নওয়াল। এক ওভারেই দুজনকে ফেরান তিনি। শুরুতে ৪৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ রান করা লিটন হন এলবিডব্লিউ।
এক বল পর আউট হন মুনিম শাহরিয়ার। টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো মাঠে নামা এই ব্যাটার ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ বলে ৫২ রান করেন। লিটন-মুনিমের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়েই বাকি ব্যাটাররা খেলতে থাকেন।
আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা সাব্বির এবার ১০ বলের ইনিংসে ৩ ছক্কায় ২৩ রান করেন। এছাড়া ৯ বলে ১৮ রান আসে থিসারা পেরেরার ব্যাটে। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সিলেটের কর্নওয়াল।
রান তাড়ায় নেমে একদমই সুবিধা করতে পারেনি সিলেট। প্রথম বলেই তারা হারিয়ে ফেলে রাকিম কর্নওয়েলের উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। আরেক ওপেনার জর্জ মানজিও ৮ বলে ১১ রান করে আউট হয়ে যান।
তিনে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো ঝড় তোলেন জাকির হাসান। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৮ রান করে শুভম রানজানের বলে আউট হন তিনি। ম্যাচের গতিপথ তিনিই অনেকটা ঠিক করে দিয়ে যান।
অবশ্য এর মাঝেও নিয়মিত উইকেট নিয়ে সিলেটকে চাপে রাখছিল ঢাকা। কিন্তু মাঝে রনি তালুকদার ও জাকের আলির ইনিংস ব্যবধান কমিয়ে আনে। ২০ বলে ৩০ রান করে রানজানের বলে রনি বোল্ড হন। ১৭ বলে ২৪ রান করেন জাকের আলি।
এরপরও শেষ চার ওভারে ২৮ রান দরকার ছিল সিলেটের। কিন্তু ওই ব্যবধান শেষ করেন আরিফুল হক। ১৫ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রান করেন তিনি। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন সিলেটের অধিনায়ক। চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম জয় পেল তার দল। ছয় ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে ঢাকা।
এআর
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT