• ঢাকা
  • বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩০

মেসিকে ঈর্ষা করতেন এমবাপ্পে, বললেন নেইমার


ক্রীড়া ডেস্ক জানুয়ারি ১৭, ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম
মেসিকে ঈর্ষা করতেন এমবাপ্পে, বললেন নেইমার

ঢাকা: মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে। দুই মৌসুম প্যারিসের ক্লাবটিতে একসঙ্গে খেলেছেন এই ত্রয়ী। তর্কসাপেক্ষে সেই সময়ের সেরা আক্রমণত্রয়ী তো তারাই।

কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পিএসজি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটি যেন বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছিল দলটির জন্য! তিন মহাতারকা একসঙ্গে খেলে পিএসজিকে শিরোপা জেতাবেন কী, পার্ক দে প্রিন্সেসে উল্টো অধিক সন্যাসীতে গাজন নষ্ট হতে শুরু করে।

লিওনেল মেসি, নেইমার আর কিলিয়ান এমবাপ্পের মধ্যে বন্ধনটাই সেভাবে গড়ে ওঠেনি। যেটা বার্সেলোনায় ছিল মেসি, নেইমার ও লুইস সুয়ারেজের মধ্যে। ফলে পিএসজির বেশিরভাগ ম্যাচে মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পে একসঙ্গে খেললে একেকজনকে মনে হতো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ।

একবার তো পেনাল্টি শট নেওয়া নিয়ে নেইমারের সঙ্গে মাঠে প্রকাশ্যেই ঝামেলায় জড়িয়ে যান এমবাপ্পে। এ নিয়ে সেই সময় কত আলোচনা, কত গুঞ্জনই না হয়েছে। এমনও খবর এসেছিল যে, এমবাপ্পে চান না নেইমার পিএসজিতে থাকুক।

অনেক ঘটনার পর মেসি ও নেইমার ২০২৩ সালে পিএসজি ছাড়েন। মেসি পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে, নাম লেখান মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে। আর নেইমার যান সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালে।

ব্রাজিলিয়ান তারকা সম্প্রতি আরেক ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোমারিওর সঙ্গে এক পডকাস্টে পিএসজিতে মেসি, এমবাপ্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন।  

এমবাপ্পে বিরক্তিকর ছিলেন কি না, রোমারিওর এমন প্রশ্নে নেইমার বলেছেন, ‘না, সে ও রকম ছিল না। তার সঙ্গে আমার কিছু বিষয় ছিল, সামান্য মনোমালিন্যও হয়েছিল। তবে সে আমাদের ভিত্তি ছিল, আমি তাকে গোল্ডেন বয় বলে ডাকতাম। সব সময় তার সঙ্গে খেলতাম। তাকে বলতাম, সে বিশ্বসেরাদের একজন হবে। সব সময় তাকে সাহায্য করতাম, অনেক কথা বলতাম, সে আমার বাড়িতে আসত, আমরা একসঙ্গে রাতের খাবার খেতাম।’

তবে মেসি পিএসজিতে যাওয়ার পর এমবাপ্পের আচরণে কিছু পরিবর্তন চোখে পড়ে নেইমারের, ‘আমরা জুটি গড়ে ভালো কয়েকটি বছর কাটিয়েছি। কিন্তু মেসি আসার পর সে একটু ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। আমাদের মধ্যে লড়াইও হয়, তার আচরণে পরিবর্তন আসে।’

এত তারকা এক দলে থাকায় পিএসজিতে এক ধরনের সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছিল বলেও মনে করেন নেইমার। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কাউকে দায়ী করেননি তিনি, ‘অহংবোধ থাকা ভালো; কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে যে একা খেলা যায় না। পাশে আরেকজনকে দরকার পড়বে। (দলে) প্রায় সব জায়গায়ই অহংবোধ ছিল, এভাবে কোনো কিছুই ঠিকঠাক হতে পারে না। কেউ যদি না দৌড়ায় এবং কেউ সাহায্য না করে, তাহলে কোনো কিছুই জেতা সম্ভব নয়।’

এআর

Wordbridge School
Link copied!