ঢাকা: প্রেমিকাকে উপহার দিয়েছেন কোটি টাকার ফ্ল্যাট, নিজে চড়েন কয়েক কোটি রুপির বিলাসবহুল গাড়িতে। অথচ বেতন পান মোটে ১৩ হাজার রুপি। ভারতের মহারাষ্ট্রের এ ঘটনা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, রাজ্য সরকারের একটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করেন হার্শাল কুমার ক্ষীরসাগর নামের ওই যুবক। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে পলাতক রয়েছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগরের স্পোর্টস কমপ্লেক্সের চুক্তিভিত্তিক কর্মী হার্শাল। এই প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুটপাটে তাকে সহায়তা করার অভিযোগে সহকর্মী যশোদা শেঠী ও তার স্বামী বি কে জীবনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ইমেইল পরিবর্তনের জন্য অফিসের পুরোনো লেটারহেড ব্যবহার করে আবেদন করেন হার্শাল। তিনি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের অ্যাকাউন্টের প্রায় হুবহু একটি ইমেইল অ্যাড্রেসের নতুন ইমেল অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। আর এই ইমেইলে কেবল একটি অক্ষর পরিবর্তন করা হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ইমেইল মনে করে লেনদেনের যাবতীয় তথ্য নতুন ইমেইলে শেয়ার করে। ফলে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ইমেইলের পরিবর্তে নতুন ইমেইলে অর্থ লেনদেনের ওটিপি চলে আসে। এ ছাড়া লেনদেনের প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্যও এভাবে পেয়ে যান হার্শাল।
এরপর স্পোর্টস কমপ্লেক্স কমিটির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা চালু করেন হার্শাল। এর মাধ্যমে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে গত ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তিনি ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২১ কোটি ৬০ লাখ রুপি সরিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই অর্থ ব্যবহার করে এক কোটি ২০ লাখ রুপিতে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি, এক কোটি ৩০ লাখ রুপির একটি এসইউভি এবং ৩২ লাখ রুপির একটি বিএমডব্লিউ মোটরসাইকেল কেনেন হার্শাল। এ ছাড়া প্রেমিকাকে ছত্রপতি সম্ভাজিনগর বিমানবন্দরের কাছে বিলাসবহুল একটি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাটের এই ঘটনার সঙ্গে হার্শাল ছাড়াও আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন। হার্শালকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। ক্রীড়া বিভাগের একজন কর্মকর্তা আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তদন্তে উঠে আসে এসব বিষয়।
এসএস