Menu
ঢাকা: সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা জিভের অধিকারী নারীর স্বীকৃতি পেয়েছেন চানেল ট্যাপার। তার জিভের দৈর্ঘ্য ৩.৮ ইঞ্চি (৯.৭৫ সেন্টিমিটার), যা একটি মাঝারি আকারের বাল্বের চেয়েও বড়।
৩৪ বছর বয়সি ক্যালিফোর্নিয়ার এই বাসিন্দা মূলত একজন পার্টি ট্রিকসে পারদর্শী। যিনি সহজেই তার জিভ দিয়ে জেঙ্গার ব্লক সরাতে পারেন, লাল প্লাস্টিকের কাপ উল্টে দিতে পারেন, নিজের নাক এবং থুতনির নিচে স্পর্শ করতে পারেন, এমনকি চামচও তুলে ধরতে পারেন।
কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো—তার এই লম্বা জিভ দেখে মানুষ আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠে! তার ভাষায়, ‘সবার চিৎকার শুনতে মজা লাগে!’
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এক সাক্ষাৎকারে ট্যাপার বলেছেন, ‘আমার জিভ দেখে সবচেয়ে মজার প্রতিক্রিয়া হলো মানুষের চিৎকার। মানুষ আমার জিভ দেখে আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার দেয়, কখনো হাসে, আবার কখনো ভয়ে চমকে ওঠে’।
ইন্টারনেটে ভাইরাল থেকে বিশ্ব রেকর্ড
ট্যাপার প্রথম মাত্র ১১ বছর বয়সে মজা করে সবাইকে তার জিভ দেখাতেন। তখন থেকেই মানুষ তার অস্বাভাবিক লম্বা জিভের দিকে তাকিয়ে বিস্মিত হতো। এরপর এক ইউটিউব ভিডিওতে তাকে জিভ বের করতে দেখে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা মুগ্ধ হয়ে যান এবং ধীরে ধীরে তিনি ভাইরাল হয়ে যান।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে লস অ্যাঞ্জেলেসে আমন্ত্রণ জানায় এবং পরিমাপের পর নিশ্চিত হয় যে, তিনি সত্যিই বিশ্বের দীর্ঘতম জিভের অধিকারী নারী। সাধারণ নারীদের চেয়ে তার জিভ ১.৯ সেন্টিমিটার এবং পুরুষদের চেয়ে ১.২ সেন্টিমিটার লম্বা!
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ও খ্যাতি
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের স্বীকৃতি পাওয়ার পর ট্যাপার বিশ্ব ভ্রমণের সুযোগ পান। তিনি ইতালির মিলানে ভ্রমণ করেছেন এবং জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড ডিজেলের ‘Welcome Successful Living’ ক্যাম্পেইনের জন্য তার জিভকে নীল-সবুজ রঙে রাঙিয়ে ফটোশুট করেছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ঘোরার সুযোগ পেয়ে ট্যাপার বলেন, ‘এটা সত্যিই মজার! আমি এমন অনেক জায়গা দেখতে পারছি, যা আগে কখনো দেখিনি’।
অনলাইনে অনেকে তাকে মার্ভেল কমিকসের চরিত্র ভেনম-এর সঙ্গে তুলনা করলেও, ট্যাপার তার বিশ্ব রেকর্ড নিয়ে দারুণ গর্বিত। জিভ নিয়ে রেকর্ড গড়া এই নারীর ভাষায়, ‘আমি মজার, অদ্ভুত ব্যাপারগুলো উপভোগ করি’।
ইউআর
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT