Menu
ঢাকা: চালচলন বাদশাহের মতো। দেখতেও বিশালদেহী। মাঝারি সাইজের গরুকেও দেবে টক্কর। বিরল প্রজাতির এই ছাগলের শুধু চালচলনই নয়, খাদ্যাভ্যাসেও রয়েছে বাদশাহী ভাব। চা কিংবা কোক না হলে চলেই না তার। মালিকের আদর-যত্ন পেয়ে এভাবেই অভিজাত স্বভাবের হয়ে উঠেছে ছাগলগুলো।
লম্বা লম্বা কান। একেকটি কান এক-দেড় ফুটের কম হবে না। গায়ে-গতরেও বেশ বড়সড়। বাদশাহী দেখতে এমন ছাগলের শরীরের পশম আচড়ে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। এই খামারের মালিক পেশায় একজন পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার।
কিন্তু শখ করে ছাগল পালন শুরু করেছেন আশরাফ আব্দেল-বার। মিসরীয় এই ব্যক্তি বিরকেত এল সাব শহরে ছাগলের এই ছোট্ট খামার গড়ে তুলেছেন। তার খামারে থাকা এই ছাগলগুলো বিরল হেজাজি প্রজাতির। ছাগলের প্রতি ভালোবাসা থেকেই শখ করে খামার করেছেন আশরাফ।
শুধু আদরই করেন না। বরং আদর দিয়ে ছাগলগুলোকে মাথায় তুলেছেন আশরাফ। তার ভালোবাসা পেয়ে ছাগলগুলোও পাল্টা ভালোবাসা দেখাচ্ছে। নিজের শখের এই ছাগলগুলোকে চা এবং কোমল পানীয় খাওয়াচ্ছেন আশরাফ। এই মিসরীয়র ভাষায়, তার কাছে মানসিক শান্তি পাচ্ছে এই ছাগলগুলো। আর এটাই তার সাফল্যের কারণ।
শখ হিসেবে ছাগল পালন শুরু করলেও এখন তা লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। অপেশাদার ছাগল পালনকারীদের এই ছাগল পালনের পরামর্শ দিচ্ছেন আশরাফ। এতে উৎপাদন যেমন অনেক হবে, লাভও হবে প্রচুর। সেক্ষেত্রে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। শখও পূরণ হলো আবার আয়ও হলো।
সৌদি আরবে এই হেজাজি ছাগলের আদি নিবাস। ছাগলগুলো তাদের বিশাল আকার এবং ব্যয়বহুল দামের জন্য বেশ পরিচিত। এই ছাগলগুলো কেন এত জনপ্রিয় তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন আশরাফ। তার ভাষায় এসব ছাগলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অন্য ছাগলের চেয়ে আলাদা।
হেজাজি ছাগলের অন্যতম আকর্ষণ এর গঠন। এই ছাগলের মাথার নির্দিষ্ট আকৃতি এবং নির্দিষ্ট মাত্রায় বক্রতা রয়েছে। এর পিঠ আরবীয় ঘোড়ার মতো। ঘাড় এবং পা লম্বা। এর নান্দনিক আকৃতি এবং সুন্দর রঙের কারণে এটি অপেশাদারদের ছাগলপালকদের কাছে পছন্দের।
ইউআর
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT